নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট শেষ। এবার গণনার পালা। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। স্ট্রংরুমের বাইরে কড়া পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আঁটসাঁট নিরাপত্তায়  মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মাঝেমধ্যেই ঢুঁ মারছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। অশান্তি এড়াতে টহল দিচ্ছে পুলিস ও বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কলকাতা-
অশান্তির আশঙ্কায় শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, গণনার দিন কড়া নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিসও। মোতায়েন থাকবে ৪ হাজার বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রতি ডিভিশনে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এখন থেকেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। শহরের ১৩টি জায়গায় গণনা চলবে আগামিকাল। সেইসব গণনাকেন্দ্রের ভিতরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর বাইরে মূল গেটে কলকাতা পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়াও গণনাকেন্দ্রগুলির বাইরে সাদা পোশাকে পুলিস মোতায়েন থাকবে। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রের বাইরে দুজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন।


রায়গঞ্জ-
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ৪টি বিধানসভা এলাকার গণনা হবে রায়গঞ্জের পলিটেকনিক কলেজে। কলেজের স্ট্রংরুমে কড়া নিরপত্তায় রাখা হয়েছে ইভিএম। ইসলামপুর কলেজে গণনা হবে আরও ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম। গণনা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া পলিটেকনিক কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গণনা উপলক্ষে কলেজের মূল ফটকের পর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রচনা করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একইসঙ্গে রয়েছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিও।


কৃষ্ণনগর-
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বিপিসি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা এলাকার গণনা সেখানেই হবে। ইনস্টিটিউটের ৩টি তলায় গণনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে গণনাকেন্দ্র।


রানাঘাট-
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে রানাঘাট কলেজে। লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭ বিধানসভা এলাকার গণনা সেখানেই হবে। কলেজের ২টি বিল্ডিয়ের ৩টি তলায় গণনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তা।


জলপাইগুড়ি-
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের গণনা এবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে হচ্ছে না। প্রথমবার গণনা হবে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। জলপাইগুড়ি লোকসভার মোট ৭টি বিধানসভা এলাকার গণনা হবে সেখানে। আরও পড়ুন, বিরোধীদের দাবি খারিজ, পুরনো নিয়মই গণনা হবে জানাল কমিশন


ঝাড়গ্রাম-
গণনার জন্য প্রস্তুত ঝাড়গ্রাম মহিলা রাজ কলেজ। ভোটগণনা কেন্দ্র ঘিরে তৈরি করা হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী। কলেজে ঢোকার রাস্তায় চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আটকে দেওয়া হচ্ছে সমস্তরকম যানবাহন। ১০০মিটার পায়ে হেঁটে নিরাপত্তারক্ষীকে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারপর কলেজে ঢুকতে হচ্ছে। এরপর কলেজের ভিতরে ঢোকার পর আরেক দফা চেকিং। এই পুরো কাজটাই করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরের চেকপোস্টে মোতায়েন শুধু রয়েছে রাজ্য পুলিস।


শ্রীরামপুর-


শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে শ্রীরামপুর কলেজে। ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকাজুড়ে ত্রিস্তরীয় নিরপত্তাবলয় থাকছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলছে স্ট্রংরুমে। কলেজের সায়েন্স ব্লকে লোকসভা কেন্দ্রের ৩টি বিধানসভার গণনা হবে। আর্টস ব্লকে গণনা হবে ৪টি বিধানসভা এলাকার গণনা।


ঘাটাল-
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রর গণনা হবে ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে। কলেজে ঢোকার মূল গেটে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। কলেজ গেট থেকে দু'দিকে ১০০ মিটার করে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৫০০ পুলিস ও দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান।


বর্ধমান-দুর্গাপুর-
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটিতে। নিরাপত্তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।


বর্ধমান পূর্ব-
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে বর্ধমানের পলিটেকনিক কলেজে। আধাসেনার কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে গণনাকেন্দ্র।


বোলপুর-
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বোলপুর কলেজে। গণনা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আসানসোল-
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে ডিএভি পাবলিক স্কুলে। কারও গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই।