নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বীরভূমের ময়ূরেশ্বর। অভিযোগ, জয় শ্রী রাম বলায় বিজেপি কর্মীকে তির মেরে খুনের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।               


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ময়ূরেশ্বরের ধর্মরাজতলায় শুক্রবার বসেছিল হরিনাম সংকীর্তনের আসন। সেখানে হঠাৎ ওঠে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, দুজন বিজেপি কর্মী জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেন। বিজেপির অভিযোগ, 'জয় শ্রী রাম' শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ। তা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। লাঠি, তির ধনুক, ইট পাটকেল নিয়ে একে অপরের উপরে চড়াও হয় দুপক্ষ। আহত হন দুই দলের বেশ কয়েকজন কর্মী। তিরবিদ্ধ হয়ে আহত হন বিজেপ কর্মী সন্তোষ সেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন তিনি।



বিজেপির অভিযোগ, এরাজ্যে জয় শ্রী রাম বলাও এখন অপরাধ। ভগবানের নাম নেওয়ায় হামলা করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, ঘটনার পর কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীর পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি সমর্থকরা। গ্রামের তৃণমূল কর্মী লালু শেখের দাবি, বিজেপি সর্মথকদের চালানো তিরেই আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে তিনি কোন দলের সমর্থক বলতে পারেননি তিনি। ঘটনায় ৪ জন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিস। 



'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সূত্রপাত হয়েছিল চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে তিন যুবকের জয় শ্রী রাম ধ্বনিকে কেন্দ্র করে। কনভয় থেকে নেমে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই তিন যুবককে আটক করে পুলিস। পরে বাংলায় প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, বাংলায় জয় শ্রী রাম বললে জেলে ঢোকাচ্ছে দিদির পুলিস। নিজস্ব নাটকীয় ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেন, জয় শ্রী রাম দিদি। আমাকে জেলে ঢোকান। তবে নিজের অবস্থানে অনড় মমতা জানিয়ে দেন, জয় শ্রী রাম বিজেপির স্লোগান। নির্বাচন আসলেই রামের কথা মনে পড়ে বিজেপির। পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির বানাতে পারেনি তারা। একইসঙ্গে মমতা বলেছিলেন,''আমাদের স্লোগান, জয় হিন্দ, যেটা নেতাজি বলেছিলেন। এছাড়া মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ বলি। বিজেপির স্লোগান আমি বলব না''।        


আরও পড়ুন- রাস্তা দখল করে পার্টি অফিস নির্মাণের অভিযোগ মোদীর, আইনি চিঠি পাঠালেন অভিষেক