নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার ৭ দফায় সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করতেই ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই এখন তত্পরতা তুঙ্গে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, রবিবার-ই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে শাসকল দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে সোমবার স্থির হয় যে, মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় বৈঠকের পর বিকালে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দলীয় সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা থেকে যেমন বাদ পড়তে পারেন অনেক মুখ। তেমনই জায়গা করে নিতে চলেছে অনেক নতুন মুখ। প্রার্থী করা হচ্ছে না উমা সোরেন, অপরূপা পোদ্দার, তাপস পাল, সন্ধ্যা রায়, ইদ্রিস আলিকে। তেমনই অনেক বিধায়ককে লোকসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। একাধিক নতুন মুখের নামও ঘোরাফেরা করছে তৃণমূলের অন্দরে। সূত্রের খবর প্রার্থী হতে পারেন সুবোধ সরকার, ইন্দ্রাণী হালদার।


তৃণমূলের অন্দরের খবর, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখেছেন দলনেত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মূলত ৪টি বিষয়কে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে। কী কী সেগুলি?


১) সাংসদদের পারফর্ম্যান্স সবদিক থেকে বিচার করা হয়েছে।  কোন সাংসদ তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কতখানি কাজ করেছেন, দলের হয়ে কতখানি কাজ করেছেন, তার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। যাদের সেই রিপোর্ট খারাপ, রিপোর্ট কার্ডে 'লাল কালি'র দাগ পড়েছে, তাঁরা বাদ যাচ্ছেন প্রার্থী তালিকা থেকে।


২) জানা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে বেশি 'তারকা প্রার্থী' নয়, বরং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে-ই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর তাই অনেক বিধায়ককে এবার লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।  যার মধ্যে মহুয়া মৈত্র, শ্যামল সাঁতরা, অসিত মালের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি, বিধাননগরের মেয়র তথা নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তও প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর।


৩) এলাকায় কে কতখানি সময় দেন, কার জনসংযোগ কতখানি, মানুষের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা কেমন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে সে-ই বিষয়টি।


৪) জোর দেওয়া হচ্ছে এলাকায় ও দলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির উপর। আরও পড়ুন, সাত দফায় ভোট বিজেপির গেম প্ল্যান, নবান্নে বললেন মমতা