বুথে আলো-জল কিচ্ছু নেই, শৌচালয় দুর্বিষহ, ক্ষোভ উগরে দিলেন ভোটকর্মীরা
এক বয়স্ক ভোটকর্মী ক্ষোভের সুরে বললেন, `এত বছর ধরে ভোটে ডিউটি করেছি, কিন্তু এরকম অব্যবস্থা কোনও দিন চোখে পড়েনি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছিল যে ভোটকর্মীদের কোনও অসুবিধা হবে না। তাঁদের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা থাকবে ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রুপান দিঘিতে চোখে পড়ল সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য।
ফাঁসিদেওয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রুপান দিঘি প্রাইমারি স্কুল। সেখানেই বুথ। সীমান্ত থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত রুপান দিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্পর্শকাতর বুথ বলেই পরিচিত। রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে ভোট। নিরাপত্তা কর্মী থেকে ভোটকর্মী, সকলেই প্রস্তুত। কিন্তু কমিশনের বন্দোবস্ত নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।
আরও পড়ুন, দ্বিতীয় দফায় ৮০ শতাংশ বুথে আধাসেনা! মোট ১৯৪ কোম্পানি বাহিনীর কোথায় কত? জেনে নিন
ভোটকর্মীদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের সময় বলা হয়েছিল যে তাঁদের জন্য সমস্ত কিছু সুবিধা থাকবে ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারে অন্য। ভোটকর্মীদের অভিযোগ, জলের জন্য ডিপ টিউবয়েল আছে, কিন্তু তা দিয়ে জল পড়ে না। শৌচালয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। জলের কোনও ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন, বেআইনি লেনদেনে জড়িত সিবিআই প্রাক্তন ডিরেক্টরের পরিবার! হলফনামায় বিস্ফোরক রাজীব কুমার
এমনকি, স্কুলে বিদ্যুতের কোনও ব্যবস্থাও নেই। কমিশন থেকে বলা হয়েছিল প্রত্যেক বুথে একটি করে টর্চলাইট দেওয়া হবে। কিন্তু সেই টর্চ লাইটেরও দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভোটকর্মীদের। এক বয়স্ক ভোটকর্মী ক্ষোভের সুরে বললেন, "এত বছর ধরে ভোটে ডিউটি করেছি, কিন্তু এরকম অব্যবস্থা কোনও দিন চোখে পড়েনি।"