COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: ঠান্ডা মাথায় ছক কষে খুন। স্বামীকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রায় নিখুঁত প্ল্যানই করেছিল বারাসতের মনুয়া। প্রেমিককে সে নিজে আগেভাগে পৌছে দেয় বাড়ির মধ্যে। তদন্তে একের পর এক পর্দাফাঁসে তাজ্জব পুলিসও।  


বারাসতের হৃদয়পুরে, হৃদয়হীনতার নজির। স্ত্রী-প্রেমিকের প্ল্যান। খুন স্বামী। দোসরা মে'র এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিত্যনতুন চমক। শুক্রবার প্রেমিক অজিতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিস। মনুয়া-অনুপম-অজিত। সম্পর্কের ত্রিকোণ। এর থেকে অনুপমকে সরাতে ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান কষে বাকি দুজন।


খুনের দিন দুপুরে অনুপমের হৃদয়পুরের বাড়িতে দেখা করে মনুয়া-অজিত। সেখানে ঘনিষ্ঠ সময় কাটান দুজনে। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ বাইরে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মনুয়া
কিন্তু অজিত থেকে যায় বাড়ির মধ্যেই। সম্প্রতি একটি অপারেশনের পর থেকে নবপল্লীতে বাপের বাড়িতেই থাকছিল মনুয়া। অনুপম ইদানিং স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, শ্বশুরবাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে  হৃদয়পুরের বাড়িতে ফিরতেন। ঘটনার দিন ফোনে মনুয়াই তাঁকে নবপল্লীতে আসতে বারণ করে দেয়, বরং সোজা হৃদয়পুরে চলে যেতে বলে। রাত নটা নাগাদ অনুপম হৃদয়পুরে বাড়ি ফিরে দরজা খোলামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়ে অজিত। মাথায় রড দিয়ে মেরে অনুপমকে খুন করে পালিয়ে যায় সে। 


পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার তিন-চার দিন আগে থেকে এলাকা রেকি করে যায় অজিত। পুলিস সূত্রে খবর, খুনের অস্ত্র রডটি কাগজে মুড়ে বাসে করে নিয়ে আসে অজিত। অনুপমের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আগেও বহুবার হৃদয়পুরের বাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটায় মনুয়া-অজিত। প্রথমে তারা ঠিক করেছিল, ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করানো হবে অনুপমকে। তবে মনুয়াকে খুশি করতেই অনুপমকে নিজের হাতে খুন করার কথা বলে অজিত। অনুপমকে খুনের সময় ফোন অন করে রাখে অজিত, যাতে স্বামীর শেষ আর্তনাদ শুনতে পায় মনুয়া। 


অপরাধের এমন নজির, অপরাধীর এমন মনস্তত্ত্ব। এক কথায় নজিরবিহীন। বিস্মিত পুলিসও।