সঞ্জয় রাজবংশী: কী হিন্দু, কী মুসলমান-- মায়ের কাছে সবাই সমান। মা কালীর সাধক ভবা পাগলার এই বাণী যে সত্য, ফের তার প্রমাণ মিলল কালনা ডাঙাপাড়ার ১৩৯ বছরের প্রাচীন পঞ্চমুন্ডি আসনে বিরাজমান মা সদানন্দ কালীর আশ্রমে। এই কালী পুজোর ভার শুধু হিন্দুদের কাঁধে তোলা আছে তা নয়, জাগ্রত এই মায়ের পুজোর বিষয়ে পিছিয়ে নেই এলাকার মুসলিমেরাও। পাড়ার মুসলিমরাও এ পুজোয় উপোস করে পুজো দেন ও মানত করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: kalipuja 2023: বলির সময়ে রক্তপ্রিয় মা কালীকে কেন কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়, জানেন?


ভাগীরথীর পাড়েই, প্রায় ১৩৯ বছর আগে, কালনার ডাঙাপাড়া জনহীন এলাকায় পণ্ডিত সদানন্দ গিরি মহারাজ পঞ্চমুন্ডির আসনে মা কালীকে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময়ে একটি ছোট্ট মন্দির ছিল। সেই মন্দিরেই পুজোপাঠ শুরু হয়। 


এই পাড়ায় হিন্দু ও মুসলিম উভয়পক্ষ মিলেই বসবাস করেন। ক্রমে সেই ছোট মন্দির থেকে বড় মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। মন্দির নির্মাণে বেশিরভাগ হিন্দুরা এগিয়ে এলেও পিছিয়ে থাকেননি মুসলিমরাও। মায়ের পুজোকে ঘিরে সকলেই সমান ভাবে এগিয়ে আসেন। সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন, মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন।


আরও পড়ুন: kalipuja 2023: ৩০০ বছরের পুরনো কালীমূর্তির কাঠ উঠল পুকুর থেকে! অলৌকিক আদেশ পেলেন জমিদার...


এখানে বাড়ির একটি আদরের কন্যাকে যেভাবে যত্ন নেওয়া হয়, ঠিক সেইভাবে মা কালীর যত্ন নেন সেবক ও পূজারীরা। সকালে উঠেই মাকে স্নান করিয়ে নতুন শাড়ি পরানো ও ফল-মিষ্টি নিবেদন করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয় অন্নভোগ। একসময়ে মা সদানন্দ কালীকে ফলভোগ দেওয়া হত। তার পর মাছ-মাংস, শাক-সব্জি ও বিভিন্ন রকমের ভাজা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আরতির পরে দেওয়া হয় লুচিভোগ। এরপর দেওয়া হয় রাতের ভোগ। গরমকালে মাকে ডাবের জল নিবেদন করা হয় এই নৈশভোগে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)