জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Election 2023) সন্ত্রাস, যে ভংয়কর চেহারা নিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত রাজ্যে নিহতের সংখ্যা ১৫। পঞ্চায়েতের ভোটের শুরু থেকেই সন্ত্রাস অব্যাহত। সংঘর্ষ, বোমাবাজি, ছাপ্পা ভোটে ছয়লাপ রাজ্যর প্রায় প্রতিটা জেলা।  মনোনয়ন পর্ব থেকেই রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিন সবচেয়ে কদর্য চেহারাটা ফুটে উঠল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই অত্যন্ত 'সক্রিয়' ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। নোনয়ন পর্বে অশান্তির পর, ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন তিনি। ভোটের দিন সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছেন রাজ্যপাল। গাড়ি করে একের পর এক বুথে গিয়েছেন তিনি। ভোটের পরিস্থিতি দেখিয়েছেন খতিয়ে। রাস্তায় দাড়িয়ে বলেছেন, 'ভোট ব্যালটে হওয়া উচিত, বুলেটে নয়'! ভোট হিংসায় ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেন রাজ্যপালই! ঠিক এই মর্মেই আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ( Madan Mitra)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পড়ল? সাত জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু


মদন মিত্র বলেছেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ১২ (যদিও সরকারি হিসেব ১৫) জন খুন হয়েছে। তাঁদের খুনের জন্য দায়ী রাজ্যপালই। আমি রাজ্যপালের নামে মামলা করব। রাজ্যপালের উসকানিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এতগুলো খুন হয়েছে। তৃণমূল যদি লুঠ করত তাহলে, তৃণমূলের এত লোক মারা যেত না।' পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেন মদন। ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলেছেন,  'বারো জনের (যদিও সরকারি হিসেব ১৫) মধ্যে আটজনই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা যথেষ্টই দুর্ভাগ্যজনক। মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যেত। নিজেদের কর্মীদেরই আমরা বাঁচাতে পারিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকা ছিল না। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পুলিশের ভূমিকা নগণ্য করে দিয়েছে।'


আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: কে কাকে গুলি করে মারবে, কে তার গ্যারান্টি দেবে: কমিশন


বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিকেল ৩টে পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৫১.০৬ শতাংশ। রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিরোধীরা দ্বারস্থ হন হাই কোর্টের। হাই কোর্ট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। জানায়, সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য রাখতে হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ৬০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত এক চতুর্থাংশ ভোটেই তারা রয়েছে। তার পরেও হিংসার অভিযোগ থামেনি।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)