এবার মাধ্যমিকে রাজ্যে  যে তিনজন তৃতীয়স্থান দখল করেছে, তারমধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার রহড়ার অরিত্র মাইতি। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের বয়েজ হোমের ছাত্র। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে অরিত্র। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর অরিত্র কথা বলেছিলেন জি ২৪ ঘন্টার সঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এটা কী প্রত্যাশিত ফলাফল?


অরিত্র: ভাল ফল করব এই বিশ্বাস ছিল। কিন্তু RANK  করব ভাবতে পারিনি।


এই সাফল্যের গোপন রহস্য কী?


অরিত্র: পড়াশোনা নিয়ে কেউ কোনদিন জোর করেনি। পড়াশোনা করতে ভাল লাগত তাই মন দিয়ে পড়াশোনা করি। বাবা মা এবং দাদা পড়াশোনায় ভীষণ সাহায্য করেছে। বাবা বাংলা আর ইংরাজি পড়াতেন। আর মা অঙ্ক করাতেন।  সাহায্য পেয়েছি মিশনের মহারাজদের থেকে। সবার যৌথপ্রয়াসে আমার এই সাফল্য।


বাবা মা কোন পেশায় যুক্ত?


অরিত্র:  বাবা CESC  একজন কর্মী। মা গৃহবধু।  


প্রিয় বিষয় কী?


অরিত্র: ফিজিকস আমার প্রিয় বিষয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে চাই।  


মাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য কত সময় ব্যয় করতে?


অরিত্র: গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে  পড়ার সময়টা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম ।   


পড়াশুনার বাইরে কীভাবে সময় কাটাতে ভাল লাগে?


অরিত্র: বই পড়তে ভাল লাগে। মোটামুটি সব লেখকের বই পড়লেও সত্যজিত্‍ রায় আমার প্রিয় লেখক।  ছবি আঁকা আমার নেশা। সিনেমাও দেখতে ভাল লাগে। 


পড়াশোনায় প্রেরণা কোথা থেকে পাও ?


অরিত্র: কোনি সিনেমা আমার জীবনের প্রেরণা। কোনির লড়াকু মানসিকতায় আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। কোনি শিখিয়েছে চেষ্টা থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়।  


ভবিষ্যতের লক্ষ্য কী?


অরিত্র: ভবিষ্যতের পরিকল্পনা পরে হবে। আগে ভালোভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে চাই। তারপর লক্ষ্য স্থির করব। 


আরও পড়ুন- ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে লড়াই চালিয়ে যেতে চায় মাধ্যমিকের ‘সেকেন্ড বয়’ অভীক


মাধ্যমিকের ফলাফলে ভীষণ খুশি অরিত্র মাইতি । তবে শৈশব থেকে মিশনের আঁটসাঁট নিয়মের বেড়াজালে বড় হয়েছে। কৃতিত্বের সাথে জীবনের প্রথম সিংহদুয়ার অতিক্রম করলেও বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলতে চায় অরিত্র।