জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। যা নিয়ে শুধু পরীক্ষার্থী নন, তার পুরো পরিবারও খুব উদ্বিগ্ন থাকে। অবশেষে সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। জলপাইগুড়ি আনন্দ মডেল বিদ্যালয় থেকে সকাল দশটায় ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে মার্কশিট তলে দেওয়া হল। গতবছর জলপাইগুড়িতে মাধ্যমিকের ফল তেমন ভালো হয়নি।


আরও পড়ুন:  Narendra Modi on Rahul Gandhi: পাকিস্তান রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে চায়! কেন বললেন নরেন্দ্র মোদী?


দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটের উদয়ন প্রসাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে উদয়ন। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় সে, খেলা দেখা তার হবি।


উত্তর দিনাজপুরেও মাধ্যমিকের ছবিটা উজ্জ্বল। মেধা তালিকায় দশম স্থানাধিকারিণী রায়গঞ্জ গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী ভৌমি সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। তার বাবা সৌমেন সরকার রায়গঞ্জ কোর্টের কর্মী। মা হ্যাপি মণ্ডল সরকার পেশায় পার্শ্বশিক্ষিকা, ইটাহারের এক হাইস্কুলে কর্মরত। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা-মা। আগামী দিনে বায়োলজি নিয়ে গবেষণা করতে চায় ভৌমি। লেখাপড়ার ফাঁকে গান গাইতে ও গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সে। 


আরও পড়ুন: Saudi Flood: ভয়াবহ ফ্ল্যাশ ফ্লাড, হড়পায় জলমগ্ন গোটা এলাকা, বিপর্যস্ত জনজীবন...


এ বছর মাধ্যমিকে পুরুলিয়া থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। ৬৯২ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল সে। পেয়েছে ৯৮.৮৬ শতাংশ নম্বর। সাম্যের বাড়ি পুরুলিয়া শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড লোকনাথপল্লিতে। বাবা সুনীতিপ্রিয় গুরু পুরুলিয়া জেলা স্কুলেরই বাংলা বিভাগের শিক্ষক। মা গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষিকা। পড়াশোনা ছাড়া ক্রিকেট খেলতে এবং তবলা বাজাতে ভালোবাসে সে। আগামীদিনে চিকিৎসক হতে চায় সাম্যপ্রিয়। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে এবার মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করল জেলার কৌস্তভ সাউ। মেদিনীপুর শহরের ধর্মা-সংলগ্ন রামকৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা কৌস্তভ। আগামীদিনে ইঞ্জিনিয়র হওয়াই লক্ষ কৌস্তভের। বীরভূমের ছবিটাও এদিন উজ্জ্বল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর বীরভূমের সিউড়ির আরিত্রিক সৌ সপ্তম স্থান অধিকার করল। অরিত্রিক সিউড়ির ইন্দিরাপল্লির বাসিন্দা। তার প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৮৭। আরিত্রিক সিউড়ির সরোজনী দেবী সরস্বতী শিশুমন্দিরের ছাত্র। আরিত্রিকের বাবা পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি পুরন্দরপুর স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনার বিষয়ে আরিত্রিক খুব সচেতন। তাকে পড়াশোনার জন্য কোনও দিন বলতে হত না বলেই তিনি জানিয়েছেন। নিজে থেকেই নিজের সমস্ত পড়াশোনা করে নিত সে, তাঁরা তাকে কেবল মনিটরিং করতেন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)