প্রদ্যুৎ দাস: ব্যবধান মাত্র একদিনের। গা-ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না! জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার চুঁচুড়া হাসপাতালে গুলিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। ধরা পড়ল তার ৩ সঙ্গীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টোটন বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে চুঁচুড়া হাসপাতালে আনে পুলিস। গাড়িতে ছিল তার এক সঙ্গীও। তারপর? ডাক্তার দেখানোর পর যখন হাসপাতালে বাইরে বেরোচ্ছিল, তখন টোটন লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী। গুলি লাগে পেটে। আক্রান্তে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল চুঁচুড়া হাসপাতালে, পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়।


এই ঘটনার পর হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিস। কিন্তু ততক্ষণে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়েছে হামলাকারীরা। অবশেষে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত-সহ ৪ জনকে। কীভাবে? পুলিস সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া এলাকা আত্মগোপন করেছিল মূল অভিযুক্ত  বাবু পাল ও তাঁর সঙ্গী বাবাই বালা, শেখর দে ও প্রসেনজিৎ ব্য়াপারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি রওনা দেয় চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের একটি দল। কোতুয়ালি থানার পুলিসের সহযোগিতা গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। তাদের সকলের বাড়ি হুগলিতে।


আরও পড়ুন: Mangalkot: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া গেল তাজা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র!


জানা গিয়েছে, প্রিজন ভ্য়ানে নয়। যেদিনে চুঁচুড়া হাসপাতালে গুলি চলে, সেদিন টোটন বিশ্বাস-সহ ২ দুষ্কৃতীকে টাটা সুমো গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এমনকী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গেটের বাইরে অন্য রোগীদের সঙ্গেই বসেছিল তারা। এরপর টোটন যখন গেট দিয়ে বাইরে বেরোতে যান, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। দিনে দুপুরে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পুলিসি প্রহরা থাকা দুষ্কৃতীদের উপরে যদি হামলা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন উঠেছে। 


কেন এই হামলা? এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত টোটন বিশ্বাস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, তার সঙ্গে শত্রুতা ছিল অনেকেরই। সেকারণেই এই হামলা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন: Tarakeswar Death: তারকেশ্বরে পুজো দেওয়ার আগেই মৃত্যু পূণ্যার্থীর


এদিকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ৪৫ তাজা বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। একসময়ে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ছিলেন। প্রাক্তন উপ-প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নাম, জিয়াবুর রহমান। বাড়ি,  মঙ্গলকোটের বনরাড়া। গোপন সূত্রে খবর ছিল।  এদিন ভোরে ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এলাকায় অশান্তি পাকানোর উদ্দেশ্যেই বাড়িতে অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)