১ নয় ৩, অনুব্রতর লটারিকাণ্ডে বড়সড় পর্দাফাঁস!
এক এজেন্সির টিকিটে অন্য সংস্থা থেকে টাকা জিতেছিলেন কেষ্ট! লটারির টিকিটটি ছিল রাহুল লটারির। কিন্তু গাঙ্গুলি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সি থেকে টাকাটি ভাঙানো হয়েছিল।
বিক্রম দাস: অনুব্রতর লটারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোট ৩টি লটারি থেকে টাকা ঢোকে কেষ্ট ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে। ১ কোটির লটারি জয়ের খোঁজ করতে গিয়ে মোট ৩টে লটারির হদিশ পেল সিবিআই। তদন্তে সামনে এসেছে, লটারির মাধ্যমে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ২ অ্যাকাউন্টে ৫১ লাখ টাকা ঢুকেছে। ওদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১০ লাখ টাকা। সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডল আরও একবার লটারি জেতেন। যেখানে প্রাইজ মানি হিসেবে পান ১০ লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন উঠছে, বার বার কী করে লটারি জিততেন অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর মেয়ে সুকন্যা? দানা বেঁধেছে সন্দেহ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকা লটারি জয়ের ঘটনায় সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এক এজেন্সির টিকিটে অন্য সংস্থা থেকে টাকা জিতেছিলেন কেষ্ট! লটারির টিকিটটি ছিল রাহুল লটারির। ছবিসহ অনুব্রত মণ্ডলের নাম প্রকাশ হয় লটারি এজেন্সির ওয়েবসাইটেও। কিন্তু গাঙ্গুলি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সি থেকে টাকাটি ভাঙানো হয়েছিল। বোলপুরের সেই রাহুল লটারি এজেন্সিতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত রাহুল লটারি। অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকার লটারি জয় প্রসঙ্গে এজেন্সির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। লটারির মালিককে এজেন্সির সমস্ত কাগজ-নথিপত্র সিবিআইয়ের কাছে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কীভাবে ওই ১ কোটি টাকার ওই লটারি জেতেন অনুব্রত মণ্ডল? উঠেছে প্রশ্ন।
লটারি জেতার ক্ষেত্রেও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। গাঙ্গুলি লটারির বাপি গাঙ্গুলি নামে একজনকে এর আগে সিবিআইয়ের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই বাপি গাঙ্গুলিকে জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে যে, গাঙ্গুলি লটারি নামে অন্য একটি এজেন্সি থেকে টাকাটি ভাঙানো হয়েছিল। কিন্তু টিকিটটি ছিল রাহুল লটারির। এখন ওই লটারির টিকিট কবে কাটা হয়েছিল? কীভাবে নেওয়া হয়েছিল? কারা টিকিট কাটতে এসেছিল? টাকার লেনদেন কারা করেছিল? সবকিছুই সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায়।
উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রতকে তাঁর লটারিতে পাওয়া ১ কোটি টাকা প্রসঙ্গে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন উত্তরে কেষ্ট বলেছিলেন, 'লটারি পেলেও আমি পাব। লোককে দিলেও আমিই দেব। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই।' লটারির টাকা পাওয়া নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল তখন 'হ্যাঁ' অথবা 'না' কোনওটাই স্পষ্ট করে বলেননি। ফলে তা নিয়ে জেলা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনা ছড়ায়।