মানসিক ভারসাম্যহীন বোনের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে খুন দাদা, পলাতক অভিযুক্ত
`সাজ্জাদ আমাকে বিরক্ত করছে। দাদা প্রতিবাত করতেই দাদাকে মারল সাজ্জাদ”।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বোনের সম্মান বাচাঁতে গিয়ে খুন হল দাদা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি মোড় এলাকায়। মৃত যুবকের নাম হেমন্ত বিশ্বাস, বয়স ৪০।
আরও পড়ুন- স্কুল থেকে ফিরে পেটে ব্যাথা, গুণিনের কাছে গিয়েই মৃত্যু
মৃত হেমন্ত বিশ্বাসের বড় বোন গীতার অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই সাজ্জাদ আলম (৩৭) নামের এক যুবক তাঁদের ছোট বোন সুনন্দাকে (২৫) বিরক্ত করছিল। বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে সুযোগ পেলেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট বোন সুনন্দার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও নাকি করত সাজ্জাদ। আর এই খবর কানে যাওয়া মাত্রই সাজ্জাদকে তাঁদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেন হেমন্ত। এরপরই হেমন্তর উপর চড়াও হয় সাজ্জাদ। কথা কাটাকাটি থেকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে হেমন্তর গায়ে হাতও তোলন সাজ্জাদ, মারধোরে মাথা ফাটে হেমন্তর। ওই অবস্থাতেই বাড়ি ফেরেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার লোক বিশ্বাস বাড়িতে এসে দেখেন বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পরে রয়েছে বছর ৪০-এর হেমন্ত। পরে চিকিত্সক হেমন্তকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন- বিছানায় অন্য পুরুষের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তে স্ত্রী! প্রতিবাদ করাতেই কোপ
এদিকে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবুয়া প্রসাদের দাবি, গত সোমবার আহত হেমন্ত-কে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও সে যেতে চায়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি চলে যায় হেমন্ত। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর মালবাজার থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস হেমন্তর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনায় অভিযুক্ত সাজ্জাদ এখন পলাতক।
আরও পড়ুন- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস! অতঃপর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ধৃত যুবক
অন্যদিকে মৃতের ছোট বোন সুনন্দ বিশ্বাস বলেন, “মাঝে মধ্যেই সাজ্জাদ আমার বাড়ি এসে আমাকে বিরক্ত করত। আমি তাকে বার বার নিষেধ করার পরেও সে আসত। তাই বাধ্য হয়েই আমি দাদা-কে বলেছিলাম, সাজ্জাদ আমাকে বিরক্ত করছে। দাদা প্রতিবাত করতেই দাদাকে মারল সাজ্জাদ”।