জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসতে শুরু করেছে তিস্তা-সহ ডুয়ার্সের চেল, ঘীস নদীগুলি। শুক্রবারের পর শনিবারও সারাদিনই বৃষ্টি হয়েই চলেছে ডুয়ার্স এলাকা জুড়ে। ইতিমধ্যে চেল ও ঘীস নদীর জল অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ওদলাবাড়ি দক্ষিণ বিধানপল্লী এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে চাপাডাঙা, বাসুসুবার মতো এলাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বিপুল বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা, ঘরছাড়া মানুষ! জারি লাল সতর্কতা...


শনিবার ভোর থেকেই মাল ব্লকের ঘীস নদীসংলগ্ন রোমতি নদীর জল জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতেই রাস্তার দফারফা। জাতীয় সড়ক কাদায় ভরে গিয়েছে। ওদলাবাড়ির দক্ষিণ বিধানপল্লী এলাকায় বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরসূত্রে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা পেয়ে সেচ দফতরের তরফে আগেই  তিস্তার অববাহিকা এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।


বস্তুত,গত কয়েকদিন ধরে সিকিম,কালিম্পং-সহ ডুয়ার্সেও একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কখনও ঝিরিঝিরি, কখনও মুষলধারায়। যার ফলে কালিঝোরায় তিস্তার উপর এনএইচপিসি ড্যাম থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। যদিও তিস্তা ব্যারেজে এসে জল ছাড়ার পরিমাণ  দাঁড়িয়েছে প্রতি সেকেন্ডে ৬০০০ কিউসেক। স্বাভাবিক ভাবেই কালিঝোরার পর ডুয়ার্সের অন্য কয়েকটি নদীর জল বিশেষ করে ঘীস,লিস,জুড়ন্তীর জল তিস্তার সঙ্গে মিশে যাওয়ায় কালিঝোরা থেকে তিস্তা ব্যারেজে জল ছাড়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Howrah: ভোরবেলা বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে সামনেই ভয়ংকর বিষধর সাপ! কী হল?


পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে সতর্ক প্রশাসন। চাঁপাডাঙা,বাসুসুবা প্রভৃতি এলাকায় ক্রান্তির বিডিও-সহ ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অস্থায়ী শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মালের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্ত মাল ব্লকের টোটগাঁওয়ের ভাঙন-পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)