রণজয় সিংহ: পদ ব্যবহার করে নিজের স্বামীকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভীন নিজের পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে স্বামী আফসার আলিকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে জেলাশাসক খাদ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ামক। আর এই অভিযোগ ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একদিকে বিজেপি তোপ দেগেছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এখানে টাকা ছাড়া কিছু হয় না। ওদিকে তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, অনিয়ম হলে বাতিল হবে ডিলারশিপ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর এলাকায় রেশন ডিলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি বের হয়। নিয়োগ করা হয় রেশন ডিলার। আর এই নিয়োগ ঘিরেই যত বিতর্ক। ওই এলাকার রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন রতুয়া-১ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রুকসানা পারভীনের স্বামী আফসার আলি। অভিযোগ নিয়ম না মেনে তাঁকে রেশন ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেলা খাদ্য দফতর ও মালদা জেলাশাসকের কাছে। এমনকি ইমেল মারফত জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও। রেশন ডিলারশিপের জন্য আবেদনকারী শেখ আতাউরের অভিযোগ, 'সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়নি। প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বামীকে ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হব।' 


আরও পড়ুন, Malda: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস? মালদহে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা যুবতীর


যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভীন। তিনি বলেন, 'আমি ২০২২-এ পদ পেয়েছি, কিন্তু রেশন ডিলারশিপের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আগে থেকেই চলছিল।' এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির স্টাফ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই টাকা ছাড়া তৃণমূলে কোনও কাজ হচ্ছে না। চাকরি থেকে রেশন ডিলারশিপ সব বিক্রি হচ্ছে।' এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, 'দলবল বলে কোনও কথা নেই, অনিয়ম হলে ডিলারশিপ ক্যানসেল হবে।' জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরের নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)