সবার কম্পিউটারে নজরদারি কেন্দ্রের; সাধারণ মানুষ কেন এর ফল ভোগ করবে, প্রশ্ন মমতার
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে দেশের যে কোনও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি, হস্তক্ষেপ করতে পারবে ১০ গোয়েন্দা সংস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাধারণ মানুষের কম্পিউটারের ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকার বলা হয়েছে যে কোনও লোকের কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে ১০ কোন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-নগ্ন ছবি দেখিয়ে টানা ৪ বছর ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ পুরকর্মীর!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে মন্তব্য করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছে যাতে তারা যে কোনও কম্পিউটারে উৎপন্ন, প্রেরিত, প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত তথ্য পাঠোদ্ধার, আটক ও নজরদারি করতে পারে। এটা যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য করা হয়ে থাকে, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথেষ্ট ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এর জন্য কেন ফল ভোগ করতে হবে? আপনাদের কি মত?’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে দেশের যে কোনও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি, হস্তক্ষেপ করতে পারবে ১০ গোয়েন্দা সংস্থা। ওইসব কম্পিউটারে কী ধরনের কাজ হচ্ছে বা মজুত করা হচ্ছে তা নজর রাখবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন-রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা রাজ্যের
কারা রয়েছে ওইসব গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায়? নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারবে আইবি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্স, ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, র, ডাইরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, দিল্লির পুলিস কমিশনার যে কারও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারে।
ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী যে কোনও কম্পিউটারের মালিক বা সার্ভিস প্রোভাইডার তদন্তকারী সংস্থাকে তথ্য দিতে বাধ্য। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কোনও ধরনের অসহযোগিতা করলে যে কোনও ব্যক্তির জরিমানা বা ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।