ওয়েব ডেস্ক: সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাহাড়ে স্নায়ুর যুদ্ধে জিতেওছেন। এবার মোর্চাকে আরও কোণঠাসা করতে তৈরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের কৌশল তৈরি। সাঁড়াশি নীতি প্রয়োগ হবে মোর্চার বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বন্‍‍ধের দিনে পথে মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে জনজীবন সচল রাখছেন। শুক্রবার পাহাড়ে তাঁর দৃপ্ত পদচারণায় ইতিমধ্যেই পিছু হেঁটেছে মোর্চা। তবে এখানেই থামতে রাজি নন মমতা।


প্রশাসন ও রাজনীতি। দুইয়ের মেলবন্ধনে মোর্চাকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলতে তৈরি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেনা নামানোর তাত্‍ক্ষণিক সিদ্ধান্তে অশান্তির আগুন আর ছড়ায়নি। এবার প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।


দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার অমিত জাভালগিকে সরিয়ে আনা হয়েছে অখিলেশ চতুর্বেদীকে কার্শিয়াং ও কালিম্পং থানার IC-কেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । হিংসা ছড়ানোর দায়ে কেউ জড়িত প্রমাণ হলে, রেয়াত করতে রাজি নয় রাজ্য। মোর্চাকে কোণঠাসা করতে গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞাটিও তুলে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবার থেকে পাহাড়ের গাড়িগুলি সমতলের বিভিন্ন জেলাতেও পর্যটক পৌছে দিতে পারবে । সমতলের গাড়িও পর্যটকদের পাহাড় ঘুরিয়ে দেখাতে পারবে । এরই পাশাপাশি ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেছে রাজ্য। GTA- নিয়ে শুরু হয়েছে অডিট।


GTA-র মেয়াদ ফুরনোর আগেই তার ৫ বছরের জমা খরচের হিসেব মিলিয়ে নিতে চায় রাজ্য। ৩ আর্থিক বছরের অডিট ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে অতিরিক্ত ৬ অফিসার পাহাড়ে যাচ্ছেন। অডিটে গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR করে তদন্ত করা হবে । প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক যুদ্ধ। বিমল গুরুংয়ের গ্রেফতারির দাবিতে শনিবার পাহাড়ে মিছিল করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর এই চাপ আলগা হতে দেওয়া হবে না। দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের সংগঠন ধরে রাখার দায়িত্বে আছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। মিরিকের দায়িত্বে সৌরভ চক্রবর্তী। কার্শিয়াংকে তৃণমূলের সংগঠন ধরে রাখার দায়িত্বে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।


গোটা পাহাড়ের সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে । এর সঙ্গেই  উন্নয়নকে হাতিয়ার করে পাহাড়বাসীর মনজয় করার কৌশল রাজ্য সরকারের। যাতে নিজের দুর্গেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন বিমল গুরুং।