নিজস্ব প্রতিবেদন : আয় বাড়াতে পুজো কমিটির দিকে এবার নজর দিল আয়কর দফতর। রাজ্যের প্রায় ৪০০ পুজো কমিটিকে দুর্গোত্সবের আয়-ব্যয় নিয়ে নোটিস দিতে চলেছে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যেই শহরের ৪০টি পুজো কমিটিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আরও সাড়ে ৩০০ পুজো কমিটিকে নোটিস পাঠাতে চলেছে আয়কর দফতর। সবই বিগ বাজেটের ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন যে ৪০টি পুজো কমিটিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ-ই টিডিএস নিয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেনি আয়করকে। শুধু টিডিএস নয়, দুর্গা পুজোর সময় আয়-ব্যয় নিয়ে যে নথিপত্র জমা দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি, তাতেও আয়কর আধিককারিকরা সন্তুষ্ট নন। সেই কারণেই রাজ্যের ৪ হাজার পুজো কমিটির মধ্যে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে বিগ বাজেটের এই পুজোগুলিকে।


আরও পড়ুন, 'দ্যা অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' ঘিরে বড়সড় বিভাজন প্রদেশ কংগ্রেস শিবিরেই


এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শহরের বড় বড় পুজো কমিটিগুলি। তাদের অভিযোগ, ডাকার প্রয়োজন হলে সব পুজো কমিটিগুলিকেই ডাকা হোক। কেন বেছে বেছে কয়েকটি পুজো কমিটিকে নোটিস পাঠানো হবে? বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির আরও অভিযোগ, রাজ্যের দুর্গোত্সবকে যখন আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন কেউ পিছন থেকে ধরে টানছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্য সরকার করের বিভিন্ন ফাঁস থেকে পুজোকে মুক্ত করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকে চাপ আসে বলে মন্তব্য করেছেন কোনও কোনও পুজো উদ্যোক্তা।


আরও পড়ুন, ‘অ্যাক্সিডেন্টাল পিএম-এর পাল্টা ডিজাস্টার পিএম ছবি হবে’, নাম না করে মোদীকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর


এদিকে পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস পাঠানোর ঘটনায়, এদিন বারাসতের যাত্রা উত্সবের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে তীব্র ভাষায় নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরুদ্ধে সব পুজো কমিটিকে জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। বলেন, "আয়কর ডাকলে কেউ যাবেন না। পুজো মানুষকে আনন্দ দেয়। টাকা, চাঁদা দেয় মানুষ। তুমি মোদী বাবু টাকা দাও? পুজো বন্ধ করে দেবে?"



পুজোর হিসেব চাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে নোটবন্দির টাকা হিসেব চান মুখ্যমন্ত্রী। "একটা পুজো কমিটির গায়ে হাত দিলে ছেড়ে কথা বলব না," বলেও এদিন  হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।