নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদহে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের জোর করে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছিল। পুলিস আটকেছে। নজর রাখুন। বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী।      
   
চলতি মাসের শুরুতেই পুরাতন মালদহে টাকা দিয়ে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে। ওই গণবিবাহের বিরুদ্ধে সরব হয় আদিবাসীদের সমাজের একাংশ। পরে পুলিস এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। ওই প্রসঙ্গ তুলে এদিন বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,''বদমাইশি করে মালদহে আদিবাসী মেয়েগুলিকে ধর্মান্তরণ করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল বিজেপির লোকগুলো। আমরা আটকাই। শুধু আটকানোই, পুলিস ওদের বিয়ে দিয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও হয়েছিল।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের বার্তা দিয়েছেন, আপনারা নজর রাখবেন। বাইরের লোক আদিবাসীদের ধর্মান্তকরণ করছে। গরিব হওয়া অপরাধ নয়। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রূপশ্রী স্কিম নেই? ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে সরকার।


২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহে গণবিবাহ ঘিরে বাঁধে তুলকালাম। আটমাইলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের গণবিবাহের ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুরাতন মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিবাহ অনুষ্ঠান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্য়ান করে ভিএইচপি জানায়, আদিবাসীরা সমাজেরই অংশ। বিয়ের অনুষ্ঠানের যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরাই এসেছিলেন। আদিবাসীদের ভুল বোঝানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- মোদীর বিরুদ্ধে কিচ্ছুটি বলা যাবে না, এক টোটকায় কেজরীকে হারা বাজি জেতালেন পিকে