নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরীর আদলে এবার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে দিঘাতেই। সমুদ্র শহর দিঘাকে গড়ে তোলা হবে ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে। দিঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সি প্লেন থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক বাস, অত্যাধুনিক ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে দিঘাকে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরীর ধাঁচে এবার জগন্নাথ মন্দির দিঘাতেই। সৈকত ভ্রমণের সঙ্গেই মিলবে পূজার্চনার সুযোগও। দিঘাকে গড়ে তোলা হবে ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে। প্রস্তাবিত মন্দিরের নকশা দেখিয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আর একটা জগন্নাথ টেম্পল করে দেব। ট্যুরিজমের সঙ্গে ধর্মীয় স্থান থাকে। রিলিজিয়স ট্যুরজিমও হয়।' অনেকেই বলছেন, বিজেপির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে বেড়েছে হিন্দুত্বের রাজনীতি। সেই রাজনীতিতেই কি রামের পাল্টা এবার জগন্নাথকে বেছে নিলেন মমতা?    




মঙ্গলবার দিঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বাধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বণিকমহলের প্রতিনিধি ও শিল্পোদ্যোগীদের সামনে ঘোষণা করলেন, বাণিজ্য আর পর্যটনের মিশেলে ঢেলে সাজাবেন দিঘাকে। মমতার কথায়, 'দিঘা বিচে সি প্লেন নামবে। ট্যুরিজমের বড়ো জায়গা হয়ে যাবে। অনেক মানুষ আসতে পারবেন। জগন্নাথ মন্দির তৈরি হবে। আন্তর্জাতিকমানের ২ পার্কিং প্লাজাও হবে।'


এর পাশাপাশি তাজপুর বন্দর নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের সুর মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। জানালেন, আর অপেক্ষা নয়। রাজ্যই বন্দর বানাবে তাজপুরে। মমতা বলেন,'৫ বছর নষ্ট হয়েছে। আর অপেক্ষা করতে পারব না। রাজ্য সরকার নিজেরা করবে। এতে কর্মসংস্থানও হবে।' বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা আরও বলেন, 'কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতা হোক, দাঙ্গা-দলাদলি-সন্ত্রাসের প্রতিযোগিতা নয়।'


আরও পড়ুন- রাজ্য দফতরে প্রথম দিনেই 'বৈশাখী ঝড়' সামলাতে বেসামাল বিজেপি নেতৃত্ব