দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বীরভূমের দেউচা চালু হলে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি: মমতা
দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি চাঙ্গা করবে বাংলার অর্থনীতি। এমনটাই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেউচা পাঁচামি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার সরকারি আধিকারিক এবং জেলার তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি চাঙ্গা করবে বাংলার অর্থনীতি। এমনটাই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেউচা পাঁচামি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার সরকারি আধিকারিক এবং জেলার তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি দেউচায় মজুত রয়েছে প্রায় ২১০২ টন কয়লা। পশ্চিমবঙ্গের হাতে কয়লাখনিটি তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী সপ্তাহে মউ স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,''দেশের কয়লা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এটা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। চাকরি হবে এক লক্ষ মানুষের। বীরভূম, বর্ধমান, হুগলির পাশাপাশি জঙ্গলমহলও উপকৃত হবে।
অনেক দিন পর এটা সম্পূর্ণ করতে পারলাম। আগামী সপ্তাহে মউ স্বাক্ষরিত হবে। ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।'' দেউচা চালু হতে আরও ২-৩ বছর সময় লাগতে পারে। কোনও তাড়াহুড়ো করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,''গোটা বিশ্বে যারা যোগ্য তাদের এখানে নিয়ে আসা হবে। এজন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে কমিটি। উত্তোলন করতে পাঁচ বছর সময় লাগবে। পাথর কেটে সেখান থেকে সেখানে কয়লা পাওয়া যাবে।''
ওই প্রকল্পের জন্য দরকার কয়েক হাজার একর জমি। মমতা এদিন জানান, ১১ হাজার ২২২ একর জমির উপর খনিটি অবস্থিত। ওখানে ৪ হাজার মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের পুনর্বাসনের কাজটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। পুনর্বাসন সম্পন্ন হবার পরই শুরু হবে কাজ।
প্রকল্প চালু হয়ে গেলে আগামী ৫০ বছরের জন্য রাজ্যের কয়লা সমস্যা মিটে যাবে। এর পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলিকে বিক্রি করেও আয় হবে সরকারের।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: মালদহে থানার সামনে পিস্তল হাতে তাজিয়া, এটা খেলনা, দাবি পুলিসের