নিজস্ব প্রতিবেদন:  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখলেন তো কী হল! আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়কে ভোট দিয়েছিলেন তো! ওরা সব জায়গাতেই গায়ের জোর ফলায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আইএনটিটিইউসি-র কেন্দ্রীয় নীতির জনবিরোধী পরিকল্পনার প্রতিবাদমঞ্চ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে দ্বিমুখী আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



যাদবপুরের প্রসঙ্গ তো বটেই, তার সঙ্গে রাজ্যের শিল্পাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিকে এক লাইনে এনে বাবুলকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “সব জায়গাতেই ওরা গায়ের জোর করবে। শিল্পাঞ্চলের সাংসদ অথচ শিল্পের জন্যই কিছু করছে না।”


 এদিনের মঞ্চ থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্তিকরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা। তিনি বলেন, “ব্যাঙ্কিং সেক্টর গোটাটাই হ য ব র ল। আমাদের কাছেই ক্লিয়ার নয়, আপনাদের কাছে কীভাবে হবে! দেশের সব ব্যাঙ্কগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। অন্যায়ভাবে ব্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্তি করে গোটা সেক্টরটাই ঘেঁটে দিচ্ছে কেন্দ্র।” কেন্দ্রীয় শ্রমনীতির তীব্র বিরোধিতা করে পোস্ট অফিসগুলির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন নেত্রী। বলেন, “পোস্টঅফিসগুলির কাজ নেই। প্রচারপত্র বিলি করা ছাড়া আর কাজ নেই।”


তিনি বলেন, “ভারতীয় রেলও বেসরকারিকরণ হয়ে যেতে পারে, সতর্ক থাকতে হবে। এয়ার ইন্ডিয়াকেও তুলে দেওয়ার চক্রান্ত অনেকদিন ধরে চলছে। কোল ইন্ডিয়া ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরণ করে সর্বনাশ।” কর্মচারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, “নিজেরা না পারুন বন্ধুবান্ধব আত্মীয়দের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করুন। সংঘবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।”


রাজীবের খোঁজে হন্যে সিবিআই, পার্কস্ট্রিটে ফের জিজ্ঞাসাবাদ স্ত্রীকে


বেলগ্নিকরণ বিরোধিতায় এদিন তৈরি হয় কোর গ্রুপ। তাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, দোলা সেন,  ডেরেক,  সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, শোভোনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।


‘Save public Sector Save India’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।


২৬ তারিখ কাশিপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ হবে।


২৭ সেপ্টেম্বর কোল ইন্ডিয়ার সামনে  হবে অবস্থান বিক্ষোভ।


১৮ ই অক্টোবর ' Save Public Sector Save India ' ব্যানারে শিয়ালদা থেকে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত একটি মিছিল হবে। নেতৃত্বে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।