নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখের পাশাপাশি বাদ গেলেন কিছু দুঁদে তৃণমূল নেতারাও। এ দিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর বিজেপি উত্খাতের বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, নোটবন্দি নিয়ে প্রথমেই আমি মুখ খুলেছিলাম। আজ দেখুন, নোটবন্দি সিদ্ধান্তে সহমত হয়নি খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। তাঁর কথায়, বিজেপি দেশের একতা নিয়ে খেলছে। দেশের জওয়ান নিয়ে খেলছেন নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পশ্চিমবঙ্গে কেন টানা দু’মাস ধরে ভোট চলবে এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, সাত দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তের পিছনে আরও একটি স্ট্রাইক করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদীর। তবে, স্ট্রাইকের বিষয় নিয়ে বেশি কিছু মুখ খুলতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, সাত দফায় ভোট করার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে কেন্দ্র। পরিকল্পনা করেই মোদী নির্বাচনী নির্ঘণ্ট সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ মমতার। তিনি বলেন, সব রাজ্যে প্রচার চালাতেই মোদী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাসাধিকাল নির্বাচন চললে উন্নয়ন থমকে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। চালু হওয়া বেশ কিছু প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে বলেও দাবি তাঁর।


আরও পড়ুন- "আগে কোনওদিন সংসদে যাইনি, সুযোগ পেলে মানুষের জন্য কাজ করব"


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৯ মে শেষ দফায় নিজের কেন্দ্র বারাণসীকে রেখেছেন মোদী।  অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই শেষ দিনে বারাণসীকে রাখা হয়েছে। এই ১৯শেই কফিনের শেষ পেরেক পুঁতে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। ওই দিনকে বিশেষ দিন বলেও উল্লেখ করেন মমতা। তবে, ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন প্রয়োজন হলে বারাণসীতে গিয়েও নির্বাচনী প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এ দিন নরেন্দ্র মোদীকে ‘বকবক বকম পায়রা’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। কিন্তু সে টাকা মেলেনি। ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেও মোদীর জমানায় ২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে দাবি করেন মমতা। তাঁর আরও দাবি, ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।


আরও পড়ুন- নকুলদানা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, জানালেন অনুব্রত


জাতীয় স্তরে বিরোধীদের মহাজোটকে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ এবং বিজেপিকে ‘আইসোলটেড পিপলস’ বলে ব্যাখ্যা করেন মমতা। তিনি বলেন, যে যেখানে শক্তিশালী, বিজেপির বিরুদ্ধে সে সেখানে লড়বে। এর জন্য কয়েকটি রাজ্যে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরতও থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বিজেপি লাভবান হবে এমন কোনও জায়াগায় প্রার্থী আমরা দেব না।” উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড, বিহারে তৃণমূল লড়বে বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।