নিজস্ব প্রতিবেদন: সাগরমেলাকে কুম্ভমেলার মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করলেন, সাগরে মেলার আয়োজন, কুম্ভমেলা আয়োজনের চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। রাজনৈতিক মহল বলছে, কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে সাগরমেলা কেন বঞ্চিত, এদিন পরোক্ষে সে প্রশ্নই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নানের অপেক্ষায় সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর। এবার পূর্ণকুম্ভ না থাকায় জনস্রোত উপচে পড়বে সাগরসঙ্গমে। বুধবার সাগরে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানালেন কুম্ভমেলার মর্যাদা পাক সাগর মেলা। সাগরে মেলার আয়োজন কুম্ভের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের বলেও দাবি করেন তিনি।


পুরাণমতে সমুদ্র মন্থনে উঠে আসা অমৃত নিয়ে যাওয়ার সময়ে তা চলকে পড়ে হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক ও উজ্জ্বয়িনীতে। এই চার জায়গাতেই হয় কুম্ভমেলা। কুম্ভমেলাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে ইউনেস্কো। ২০১৩-এ এলাহাবাদে কুম্ভমেলা আয়োজনে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র।


কুম্ভমেলা দেশে-বিদেশে যতটা পাদপ্রদীপের আলোয় থাকে সাগরের মেলা ততটা থাকে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, এ দিন এই ছবিটাই পাল্টে দেওয়ার কথা


বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সাগরের উন্নয়নে, অত্যাধুনিক জেটি, আলোকিত রাস্তা, পর্যটকদের গাড়ি রাখার জায়গা, ২৪টি রাস্তার পুনর্নির্মাণ, হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু, নতুন ট্যুরিস্ট লজ-সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের সাহায্য না পেয়েও রাজ্য তার নিজের সীমিত সামর্থ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বরাবরই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সাগরমেলাকে কুম্ভের মর্যাদা দেওয়ার দাবি সেই সূত্রেই গাঁথা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।