ওয়েব ডেস্ক: বানভাসি বাংলার ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের প্যাকেজ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক হিসাবে, ১১ জেলায় ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক ১৪ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি। খুব দ্রুত কেন্দ্রকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে। গুজরাত, অসম প্যাকেজ পেলে বাংলা কেন পাবে না? বানভাসি এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশ্ন মমতার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদা ও দুই দিনাজপুর। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে ৩ জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে, মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ দিলেন, কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গোটা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য বৃষ্টির চেয়ে বেশি দায়ী নদীর জল। এ ক্ষেত্রে, বহু দিন জলাধারে ড্রেজিং না হওয়ায় কেন্দ্রকেই দায়ী করেন তিনি। ফরাক্কায় গঙ্গার ভাঙন আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাঁর।  


সোমবার, মালদার গাজোল, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পর্যন্ত যান মুখ্যমন্ত্রী। জল থাকায় বুনিয়াদপুরে ঢুকতে পারেননি তিনি। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার পাশে থাকবে বলে আশ্বাসও দেন। ফেরার পথে মালদায় জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে জল বয়ে যেতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।


বানভাসি এলাকার পুনর্গঠনের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বানভাসি কৃষকদের ১ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ দেবে কৃষি দফতর। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও এদিন তা মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে বলে জানান তিনি।