নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা বিচারে গণভোট দাবি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে CAA বিরোধী জনসভায় রাষ্ট্রসংঘের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গণভোট দাবি করেন মমতা। এর পরই মমতার উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, ভোটের রাজনীতির জন্য কি দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মমতা বলেন, আমি চাই রাষ্ট্রসংঘ বা মানবাধিকার কমিশনের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গণভোট হোক। মমতার এই মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয় বিজেপি। তাদের দাবি, দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করে ভারতের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন মমতা। সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী এধরনের মন্তব্য করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 


উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল দিল্লির কোর্ট


শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলের বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মমতা। বলেন, আমি নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা গণভোট করানোর কথা বলেছিলাম। উদাহরণ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের কথা উল্লেখ করি। আমি চাই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে গণভোট হোক। 


এদিন কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলব গায়ের জোর না দেখিয়ে, জেরাজেরি না করে মানুষেক আন্দোলন মেনে নিন। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দয়া করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। 


তাঁর মন্তব্যকে কটাক্ষ করায় বিজেপিকে পালটা বিঁধেছেন মমতা। বলেন, '১৯৮০ সালের একটা দলের কাছ থেকে আমাকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না।'