নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশিকোত্তম সম্মানকে ঘিরে বিতর্কে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তালিকা তৈরির পরও এবারের সমাবর্তনের শেষ মুহূর্তে দেশিকোত্তম সম্মান প্রদান না করার সিদ্ধান্তে অখুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এদিন জানান, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরীরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। ফলে, তাঁদের সঙ্গে এমনটা করা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "কেন নির্বাচিত সাত জনকে এবার দেশিকোত্তম দেওয়া হল না, জানি না।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, দেশিকোত্তম সম্মান হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীই এই পুরস্কার প্রদান করেন। এ বছর দেশিকোত্তম পুরস্কারের জন্য মোট ৭ জন গুণী ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই তালিকায় ছিলেন- অমিতাভ বচ্চন, অমিতাভ ঘোষ, গুলজার, সুনীতি কুমার পাঠক, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অশোক সেন এবং যোগেন চৌধুরী। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ঝটিকা সফরে আসছেন। ফলে, স্বল্প সময়ে এই পুরস্কার প্রদান করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। কিন্তু, কেন্দ্রের এই যুক্তিকে 'সাফাই' হিসাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। জানা যাচ্ছে, সম্মান প্রাপকদের তালিকার দুটি নামকে ঘিরেই আসলে যাবতীয় 'সমস্যার' সূত্রপাত। তাঁরা হলেন, চিত্রকর তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ যোগেন চৌধুরী এবং সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে যোগেনবাবু এমনিতেই সরাসরি তৃণমূলের সাংসদ এবং দ্বিজেনবাবু মমতার ঘনিষ্ট হওয়াতেই যত 'বিপত্তি'। আরও পড়ুন- তিস্তার জল আর ইলিশের সমীকরণ কোন পথে গড়ায়? তাকিয়ে রাজ্যবাসী


২০১৩ সালের পর এ বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে।