নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতালে প্রসূতিদের বেড পাইয়ের দেওয়ার নামে টাকা তোলা হচ্ছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না বলে কালিয়াগঞ্জ কলেজের মাঠে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিজি-কে নির্দেশ দিলেন, অবিলম্বে সিআইডি তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে দালালচক্র সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ। বেড নিতে রীতিমতো টাকা দিতে হয় প্রসূতির পরিবারকে। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর কাছেও খবর পৌঁছেছে। তিনি বলেন,''এখানে কিছু দালাল হয়েছে প্রেগন্যান্ট মেয়েদের থেকে টাকা তুলছে। আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করতে চাই।'' ডিজি-কে সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেন তত্ক্ষণাত্। 


মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, জেলা হাসপাতালে ৪ তলায় রয়েছে প্রসূতি বিভাগ। প্রশ্ন করেন, কেন ৪ তলায় প্রসূতি বিভাগ? উত্তর আসে, একতলায় একটি পুলিস ক্যাম্প রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই পুলিস ক্যাম্প সরিয়ে নিতে হবে। সেখানেই থাকবে প্রসূতি বিভাগ। বিকেলেই হাসপাতাল থেকে উঠে যায় পুলিস ক্যাম্প। 


সামনেই পুরভোট। বছর ঘুরলে বিধানসভা। সেদিকে চোখ রেখে এদিন একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 


গৃহনির্মাণে রাজ্যের নয়া প্রকল্প সবার জন্য ঘর 'স্নেহালয়'। বাড়ি তৈরির জন্য মিলবে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা।


সবার জন্য রোজগার 'কর্মসাথী'। প্রতি বছর ১লক্ষ যুবক-যুবতীকে  ২লক্ষ টাকা। রাজ্যের দেওয়া টাকায় ব্যবসা করার সুযোগ। ৩ বছরে ৩ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে এই সাহায্য দেওয়া হবে।


সবার জন্য পেনশন 'জয় বাংলা'। তফশিলি-আদিবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম। প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন প্রবীণরা। 


আরও পড়ুন- ভারতে থাকতে চেয়ে হাইকোর্টে 'CAA বিরোধী' যাদবপুরের পোলিশ ছাত্র