প্রবীর চক্রবর্তী: 'বিজেপির কাছে থেকে টাকা নিয়ে গন্ডগোল পাকিয়েছে'। ভাঙড়ে অশান্তিতে নাম না করে নওশাদ সিদ্দিকীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমি একটা চ্যালেঞ্জ করতে চাই আপনাদের, কোনও রাজ্য দেখান, এত নমিনেশন, কোনওদিন এত শান্তিপূর্ণভাবে দিতে পেরেছি কিনা! ভাঙড়ের ঘটনা তো, কিছু গুন্ডা করেছে, মারা গিয়েছে আমার ২ সহকর্মী। ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরু হয়েছিল কোচবিহার থেকে, আর শেষ হল কাকদ্বীপে। নবজোয়ার কর্মসূচির শেষদিনে এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক। তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'অনেকে বলে আমি অভিষেককে এন্ট্রি করিয়েছি। ২ বছর বয়স থেকে ও রাজনীতি করে। নবজোয়ারের পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাতে চাই'। অভিষেককে একটি পুরনো ছবিও উপহার দেন তিনি।  



এদিকে স্পর্শকাতর জেলা নয়, পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্যেই মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন? প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'আরও বেশি সময় যদি অপেক্ষা করা হয়, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে'।  


মমতা বলেন, 'সারা বাংলাতে কেন্দ্রীয় ফৌজ দাও। বাম-রাম-শ্যাম, আর কিছু গুন্ডারা...এই চারটে পার্টি এক হয়ে রোজ গিয়ে অভিযোগ, তৃণমূল চুলকোচ্ছে, তৃণমূল রাম চিমটি দিচ্ছে, তৃণমূল শ্যাম চিমটি দিচ্ছে, তৃণমূল দে চিমটি দিচ্ছে। দুটো ঘটনা ঘটেছে, তার  জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উঁচিয়ে বসেই আছে, ডান্ডা দিয়ে লোক পেঠাও, গুলি দিয়ে মার। সারা বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এস'। সঙ্গে অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী তো মণিপুরে নিয়ে গিয়েছিলে! ১৫০ জনের উপর গুলিতে মারা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল ২০১৩-তে। ৩৯ জন মারা গিয়েছিল। কোচবিহারের দিনহাটার শীতলকুচিতে নির্বাচনে সেন্ট্রাল ফোর্স গুলি চালিয়ে ৪ সংখ্যালঘুকে মেরে দিয়েছিল। ১ রাজবংশী ছিল'।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে বদলেছে দৃষ্টিভঙ্গি, ৬০ দিনেই পালটে গিয়েছেন অভিষেক!


রাজ্যে বাম জমানার প্রসঙ্গ তুলে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন মমতা। বাদ দেননি কংগ্রেসকেও! তিনি বলেন, 'বাংলায় মানুষ শান্তি আছে। কেউ না কেউ তো কিছু কিছু পাচ্ছেন আপনারা। যদি কেউ না পেয়ে থাকেন, তাহলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী করে তাদের জু়ড়ে দিচ্ছি। বাকি কিছু আছে, পঞ্চায়েত ভোটের পর পরিকল্পনা করে কিছু একটা করব। বলছে বাংলায় শান্তি নেই। কীসের শান্তি? সিপিএম আমলে কোনও শান্তি ছিল। শশ্মানের শান্তি? আর কংগ্রেস, অনেক রাজ্য চালিয়েছ। সিপিএমের সবচেয়ে বড় দোসর। বিজেপির দোসর, আর সংসদে আমাদের সাহায্য চাই। কিন্তু মনে রেখো, বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে ভর করে আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে আসবে না'।



তখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী চান? সাধারণ মানুষের মতামত জানতে কোচবিহার থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কবে? ২৫ এপ্রিল।  কর্মসূচির নাম, 'তৃণমূলে নবজোয়ার'। সেই কর্মসূচি এদিন শেষ হল কাকদ্বীপে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)