নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জয় শ্রী রাম' নয়, কারও সঙ্গে দেখা হলেই বলুন 'জয় হিন্দ'। নৈহাটিতে অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে এমন নিদানই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন নৈহাটিতে যাওয়ার পথে মমতার গাড়ির সামনে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দেন কয়েকজন। মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। পরে নৈহাটির সভামঞ্চে মমতা বলেন,  ''গাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ করছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যারেস্ট করতে পারতাম। লোকগুলোকে চিনে রেখেছি। জয় বাংলা লক্ষ বার কোটি বার বলব। জয় হিন্দ বলব। লোকের সঙ্গে দেখা হলেই বলব জয় হিন্দ। রাস্তায় বলবেন, জয় হিন্দ''। 


মমতা আরও বলেন,''বাইরে থেকে কালচার তুলে আনবে! তোমার কালচার তুমি করো। আমার কালচার আমি করব। তুমি কে হরিদাসের দল? মাকে কী বলব শিখিয়ে দেবে? দুদিন বাদে খেতে না পারলে বুঝবে''। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,শপথের আগেই অত্যাচার করছে। বাংলাটা বাংলাই থাকবে। গুজরাট গুজরাটই থাকবে।


ঠিক কী হয়েছিল?     


এদিন নৈহাটি যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ওঠে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। গাড়ি থেকে মমতা বলতে শুরু করেন, ,'ব্যাটা বিজেপির বাচ্চা। ডাকাত। ক্রিমিনাল। সব কটাকে তাড়িয়ে ছাড়ব। অ্যাই.. যার খাবে তার... বাঙালিদের মারব'।



লোকসভা ভোটের মাঝে চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দিয়েছিলেন কয়েকজন যুবক। সেবার গাড়ি থেকে নেমে মমতা বলেছিলেন, 'অ্যাই গালাগালি দিচ্ছিস'। তিন যুবককে আটক করে পুলিস। বিষয়টি নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করে বিজেপি। ঝাড়গ্রামের সভায় মোদী ভাষণের শুরুই করেছিলেন 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দিয়ে। বলেছিলেন,''ঝাড়গ্রামের সকলকে জয় শ্রী রাম। সবাইকে জয় শ্রী রাম। বিশেষ করে মমতা দিদিকে জয় শ্রী রাম। দিদি জয় শ্রী রাম অভিবাদন করার জন্য লোকেদের জেলে পুরতে শুরু করে দিয়েছেন। আমার মনে হল, দিদিকে সরাসরি জয় শ্রী রাম বলি''। মমতা পাল্টা দিয়েছিলেন, ''তোমার স্লোগান আমি কেন দেব? একদম নয়। আমি জয় হিন্দ বলব, বন্দে মাতরম বলব মা মাটি মানুষের জয় বলব। আমি পচা বিজেপি পার্টির নাম বলব না। এত বড় ক্ষমতা বাংলার কালচার ভুলিয়ে দেবে। তুমি কাউকে জোর করতে পার না। আর ধর্ম আমায় শেখাতে হবে না''।           


আরও পড়ুন- মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় সামিল হচ্ছে না জেডিইউ, গোঁসা নীতীশের