নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু মতুয়া ভোট নয় বনগাঁয় খারাপ ফল হওয়ায় পেছনে স্থানীয় নেতাদের ভূমিকাও রয়েছে। এমনটাই খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। বিভিন্ন সময় বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড দেখেছে মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁ স্টেডিয়ামে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধিতা সভা করতে আসেন। সরাসরি তখনি মানুষকে নেত্রী জানান "স্থানীয় নেতাদের ওপর রাগ উঠতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন দলটা আমরা চালাই যদি কেউ খারাপ করে সে ব্যাপারে ও ব্যবস্থা নিই।“ অর্থাত্ একটা বিষয় স্পষ্ট স্থানীয় নেতাদের আচরণের ওপর এ বার কড়া নজর রাখছেন নেত্রী। সামনেই পুরভোট বিজেপি একদিকে টাকা দিয়ে ভুল বুঝিয়েছে মানুষকে। এই কথা যে রকম বোঝালেন মমতা সে রকম স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ও যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও স্পষ্ট করলেন তিনি ।প্রসঙ্গত শঙ্কর আঢ্য আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ও ব্যর্থ হয়েছেন।


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব দিলেও মতুয়াদের বলতে হবে ‘বিদেশি’, বিজেপি কীভাবে মিথ্যে বলছে বোঝালেন মমতা


আসন্ন বনগাঁ পুরসভায় আদাজল খেয়ে নামতে চাইছে মমতার বিগ্রেড। এ দিন মতুয়াদের সাহায্যের তালিকা তুলে ধরেন। উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত দলিল দেওয়া, কলোনিগুলিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মমতার কথায়, রেশন কার্ড আছে, আপনি নাগরিক।


বনগাঁয় জনসভায় মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্পষ্ট করে জেনে নিন মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি মিথ্যে বলছে। তারপর উদাহরণ দিয়ে মমতা জানান, ধরুন মুকুল বৈরাগ্যকে (মতুয়া) নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হল। কিন্তু আপনাকে বলতে হবে পাঁচ বছর এ দেশে নাগরিক ছিলাম না। তখনই আপনাকে বিদেশি বলে গণ্য করা হবে। এ দেশে নাগরিক না হলে জমি, ছেলেমেয়ের পড়াশুনা, চাকরি থাকবে না। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এরপরই মমতার হুমকি, ওরা কে নাগরিকত্ব দেওয়ার। নাগরিকত্ব আমরাই দিয়ে রেখেছি।