নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁর পর নদিয়ার হব্বিবপুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, এ রাজ্যে সিএএ নয়। এনপিআর কিংবা এনআরসি তো কথাই নেই। তার সঙ্গে বরাভয়, ভোট দিয়েছেন, ভয় কিসের! আমরা সবাই নাগরিক। বনগাঁতে গিয়ে সিএএ-এনআরসি নিয়ে যে সুর চড়িয়ে এসেছিলেন, ঘণ্টা খানেক পরও খাদে নামা তো দূর, আরও অত্যুতসাহে হব্বিপুরে জনসভায় বলে দিলেন, “বাংলায় এনআরসি করতে হলে, আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। দেখি বিজেপির কত ক্ষমতা?“


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতার তোপ, মুড়ি-মুড়কির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিচ্ছে। এবার কি আলু-পটলের মতো বাজারে বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া, রেল মিলবে? নির্মলা সীতারামনের বাজেট নিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা। নয়া আয়কর পরিকাঠামো নিয়ে মমতার মন্তব্য, ওরা দুটো কর কাঠামো তৈরি করেছে। অর্থাত্ বলতে চাইছে, কাঁচা কলা খাও, নয় পাকা কলা খাও। দুটো খাওয়া যাবে না।


আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের গো ব্যাক কেউ বলছে না; প্রধানমন্ত্রীকে সেটাই বলা হচ্ছে বাংলায়, সংসদে সরব দিলীপ ঘোষ


মমতা এ দিন জানান, তাঁর বাড়িতে RBI-এর লোকেরা আসেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তাঁরা। অন্যান্য রাজ্যে কর্মী নিয়োগ হলেও এখানে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। মাত্র ১০ জন নিয়োগ হয়েছে বলে RBI কর্তাদের দাবি। পাশাপাশি, এ-ও বলেন, ব্যাঙ্কে যে ৫ লক্ষ টাকার বিমার কথা বলা হচ্ছে। আদৌ তা নয়। এক লক্ষ টাকার বেশি তোলা যাবে না। সিএএ বিরোধিতায় সরব মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে ভোট দেয় সেই নাগরিক। ৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাঁরা নাগরিক। তাঁদের অনুপ্রবেশ বলছেন কেন?” আরও বলেন, “তিন বছরের জন্মের প্রমাণপত্র চাওয়া হচ্ছে। এখন বলছে দিতে পারো না-ও দিতে পারো। মানে না দিলে ঘ্যাচাং ফু।”