নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরের তিন জেলার উন্নয়নের স্লথ গতিতে নাখুশ মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তিন জেলার আধিকারিকদের। সরকারের তরফে সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেন কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ হয়নি প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোচবিহারে ১০০ দিনের কাজ ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের বেহাল দশা নিয়ে। সংশ্লিষ্ট জেলার আধিকারিকদের রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জলপাইগুড়ি হাসপাতালে একসঙ্গে ২০ জন চিকিত্সকে শোকজ করার ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের মুখে পড়তে হয় জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। চিকিত্সকদের কাজের মাপকাঠি কীভাবে সিএমওএইচ স্থির করলেন, প্রশাসনিক বৈঠকে জানতে চান তিনি। একইসঙ্গে, হাসপাতালের স্বার্থে শো কজ হওয়া চিকিত্সকরাও যাতে চিকিত্সা করার সুযোগ পান তা নিশ্চিত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।


জলপাইগুড়িতে হাতির আক্রমণে মৃতের সংখ্যা নিয়ে রিপোর্টে গরমিল রয়েছে বলেও প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ মেটানোর নির্দেশ দেন তিনি। রাজ্যে এই মুহূর্তে ডিমের দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে দাক্ষিণাত্য নির্ভরতা কমিয়ে রাজ্যে ডিমের উত্পাদন বাড়ানোর উপর জোর দিতে চাইছে রাজ্য। জলপাইগুড়িতে সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে তা খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, "১০০ দিনের কাজে কাউকে ফেরানো যাবে না। কাজ চাইলে, কাজ দিতে হবে।"


প্রশাসনিক বৈঠক থেকে চা-বাগান নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে চা বাগান অধিগ্রহণ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, বাস্তবে কেন্দ্র ধোঁকা দিয়েছে বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটে জেতার পর আর কেউ কোনও খোঁজখবর রাখেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, তিনি এরকম কোনও 'মিথ্যে আশ্বাস' দিতে পারবেন না। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার নতুন প্রকল্প সম্ভব বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন অসমাপ্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। তিস্তা বাঁধের কাজ নিয়েও আজকের সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, 'সুপারি কিলার দিয়ে খুন করিয়েছে বিজেপি', মনোজ উপাধ্যায় খুনে দাবি মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের


পাশাপাশি, আজকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সীমান্ত সুরক্ষার উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কলকাতা স্টেশন থেকে ধরা পড়েছে ২ আল কায়দা জঙ্গি সহ ৩ জন। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে, ধৃতরা রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল। এরপরই আজ মুখ্যমন্ত্রী সীমান্তে আরও বেশকিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরির প্রস্তাব দেন। ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফের সব দফতরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনায় বসবেন তিনি।