নিজস্ব প্রতিবেদন : ওসি-পুলিস সুপারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ বিধায়কের। বিরোধ মেটাতে হস্তক্ষেপ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দুই পক্ষকে বসে কথা বলে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নামখানায় এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই কুলপি থানার ওসি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ করেন কুলপির বিধায়ক যুগরঞ্জন হালদার। তিনি অভিযোগ করেন, "ওরা কোনও কথা শোনে না। বলে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে মানি না।"


আরও পড়ুন, বিজেপির আইন অমান্য ঘিরে কোচবিহার-বেহালায় ধুন্ধুমার, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি


বিধায়কের মুখে একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জানতে কী নিয়ে গন্ডগোল। জবাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়, রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখাকে কেন্দ্র করেই সমস্যার সূত্রপাত। প্রথমে ওসি কথা শোনেনি। পরে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে বলেন বিধায়ক। তখনই পুলিশ সুপার বিধায়কের কাছে জানতে চান, "আপনি যে ঠিক বলছেন তার গ্যারান্টি কী?"


এতেই বেজায় চটে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ করেন বিধায়ক। দুই পক্ষের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, মানুষের সমস্যা করে কিছু করা যাবে না। কখনওই রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না। দুই পক্ষকে বসে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন তিনি।


আরও পড়ুন, গঙ্গায় ধরা পড়ল বিশালাকার কচ্ছপ! ওজন শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন


এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও হুঁশিয়ারি দেন, গরিবদের জন্য আবাসন প্রকল্পে কেউ কমিশন নিলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। কমিশনের বিষয়ে সবিস্তারে তাঁকে জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জয়নগর কাণ্ড নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন স্থানীয় থানার ওসি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিস নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।


প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বছরের শুধু থেকেই কৃষকের থেকে চেকের মাধ্যমে ধান কিনবে রাজ্য। ফসল বিমা  নিয়ে এদিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, মাত্র কুড়ি শতাংশ টাকা দিয়েই কেন্দ্র কৃতিত্ব নিচ্ছে। রাজ্য এসব বরদাস্ত করবে না। প্রয়োজনে পুরো টাকাই রাজ্য দেবে। সাফ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।