নিজস্ব প্রতিবেদন: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী,  সেইমতো বৈঠক শেষ করেই তিনি পৌঁছে যান ভবানীপুরের রেশন দোকানে। কাজকর্ম কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন রেশন ডিলারদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, লকডাউনের শুরুতেই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো সকলে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেন মমতা। বেশ কিছু পরামর্শও দেন ছোট দোকানিদেরও। প্রয়োজনে অন্যত্র জায়গা নিয়ে খাদ্যদ্রব্য স্টোর করে রাখার কথাও বলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর একে একে অন্যান্য রেশন দোকানগুলোতেও ঢুঁ মারেন তিনি। দূর থেকেই স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা। মাস্ক বিলি করেন। উল্লেখ্য রাজ্যের রেশন বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ  হয়ে গতকালই খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকেসরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। 


এদিন নবান্নে প্রথমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রেশন নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ধমক দিতেও দেখা যায় তাঁকে। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে নতুন খাদ্যসচিব নিয়োগ করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। নতুন খাদ্যসচিব হচ্ছেন পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী।


রেশন নিয়ে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেশনের চাল সরকার কেনে কৃষকদের কাছ থেকে। তাই রেশন দোকান নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ৯০ শতাংশ মানুষ এক মাসের চাল পেয়েছেন। কিন্তু নির্দেশ সত্ত্বেও ১০ শতাংশ মানুষ অর্ধেক রেশন পেয়েছেন। একারণে নতুন খাদ্যসচিব নিয়োগ করা হচ্ছে। 


৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। এক মাসের চাল একসঙ্গে রেশনে দিয়ে দেওয়া হবে। যারা অর্ধেক চাল পেয়েছেন, তাঁরা বাকিটা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। সবমিলিয়ে রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই মরিয়া হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।