Mamata Banerjee :`কেষ্ট আজকে নেই`, বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আক্ষেপ মমতার!
দলের রাশ তখন অনুব্রত মণ্ডলের হাতে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে ৯৩% আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল।
প্রসেনজিৎ মালাকার: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের নাম শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, 'কেষ্ট আজকে নেই। কেষ্ট আমাদের সকলেরই ঘরের ছেলে। এটা ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে'।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে ভার্চুয়াল সভা, বগটুই প্রসঙ্গ তুললেন মমতা
দলের রাশ তখন অনুব্রত মণ্ডলের হাতে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে ৯৩% আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। গোরু পাচার মামলায় সেই অনুব্রতই এখন তিহাড় সংশোধানাগারে। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
সশরীরে নয়, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এদিন বীরভূমের দুবরাজপুরে ভার্চুয়াল সভা করেন মমতা। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে দেখলেন, যারা বিজেপি করে, কোটি কোটি টাকা কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তারা যখন বিজেপিতে যাচ্ছে ভাজপা ওয়েশিং মেশিন, সব সাধু হয়ে যাচ্ছে। কালো গিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। আর তৃণমূল পার্টি করলেই আর বিরোধী দল করলেই, তাঁকে ইডি সিবিআই নানারকম ভয় দেখানো হচ্ছে'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েছে এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা জেল খেটেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই প্রথমবার ভারতবর্ষের কোনও দাগি অপরাধী, যার বিরুদ্ধে গোরুপাচার, কয়লা পাচারের মতো অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে নির্লজ্জের মতো দাঁড়াচ্ছে। এটা প্রমাণ করছে, কেষ্ট নিশ্চয়ই এমন কিছু তথ্য জানে, যে কেষ্ট যদি মুখ খুলে দেয়, তাহলে অনেক কেষ্ট-বিস্টুর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে'।
বিজেপি-র সঙ্গে দুর্নীতি যোগ? সুকান্ত বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একসময়ে কেন্দ্রে সরকারে ছিলেন। আর সারা জীবন তো বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে না। এক সময়ে না এক সময়ে তাঁরাও সুযোগ পাবে। তখন যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপির, তাঁদের তখন গ্রেফতার করতে বলবেন ক্ষমতা থাকলে। সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে দেখতে বলুন। ওনার হাতে তো সিআইডি আছে। দেখাতে বলুন, যদি ক্ষমতা থাকে'।
আরও পড়ুন: 'নিজেদের রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করে দেখাক বিজেপি', রাজনীতি ছাড়ার চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
এর আগে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়ে বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে? জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা যাওয়ার পথে, মাঝ-আকাশে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে, বাগডোগরার নামানো যায়নি কপ্টারটি। কপ্টারের মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন পাইলট। শেষপর্যন্ত শালুগাড়ার কাছে সেবক সেনা ছাউনি জরুরি অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার।
কপ্টারে জরুরি অবতরণের সময়ে কোমড়ে ও হাঁটুতে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। বাগডোগরা থেকে গ্রিন করিডোর করে তাঁকে আনা হয় এসএসকেএমে। MIR করা হয় মমতার। চিকিৎসকদের পরামর্শে মেনে হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি তিনি। চিকিৎসা চলছে কালীঘাটের বাড়িতে। সেকারণেই বীরভূমের দুবরাজপুরে এই ভার্চুয়াল সভা।