আদিবাসী ঘরে চা পান `দিদি`র, মেটালেন খুদেদের খেলার মাঠের আবদারও, বৈঠক সেরে জনসংযোগে মুখ্যমন্ত্রী
স্কুলের জন্য ১০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। ঘরের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদেরকে পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়া, দিঘার পর এবার বর্ধমান। ফের আদিবাসীদের ঘরে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রহণ করলেন আদিবাসীদের চা-আতিথেয়তার আবেদন। আদিবাসীদের ঘরে বসেই চা খেলেন তিনি। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর অভাব, অভিযোগ, সমস্যার কথা শুনলেন 'দিদি' নিজেই। ওখানে দাঁড়িয়ে দিলেন সমস্যা সমাধানের নির্দেশ।
বর্ধমানে আজ প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক সেরে ফেরার পথেই কনভয় থামিয়ে, প্রথমে রাস্তার উপর অবস্থিত একটি প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন মিছিলাবাদ প্রাথমিক স্কুলের কচিকাঁচাদের সঙ্গে। পঠনপাঠন কেমন চলছে খোঁজ নেন। স্কুলপড়ুয়ারা সবাই বই, জুতো পেয়েছে কিনা? সেই খোঁজ নেন। পাশাপাশি, বাচ্চাদের নিয়ম মেনে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে কিনা? সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হুগলির চুঁচুঁড়ার বাণীমন্দির স্কুলকে কেন্দ্র করে উসকে ওঠে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির বিতর্ক।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে মাঠের দাবি জানাতে ভোলেনি খুদেরাও। স্কুলে খেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটা মাঠের আবদার করে তারা। যার সমাধান ওখানে স্কুলে দাঁড়িয়েই করে দেন তিনি। একইসঙ্গে স্কুলের জন্য ১০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন। স্কুল থেকে বেরিয়ে এরপরই সোজা আদিবাসী গ্রামে ঢুঁ মারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যে হাইওয়ে ধরে ফিরছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়, সেই রাস্তাতেই খানিকটা এগিয়ে আদিবাসীদের ওই গ্রামটি অবস্থিত। গাড়ি থেকে নেমে সোজা গ্রামে গিয়ে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসীদের ঘরে গিয়ে বসেন তিনি। তাঁদের সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা শোনেন। ওই গ্রামের সবাই পানীয় জল ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা? স্বাস্থ্য সুবিধা পাচ্ছেন কিনা? খোঁজখবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসার খবর পেতেই ভিড় জমে যায় এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে হতচকিত হয়ে যান সবাই। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, স্বপন দেবনাথ প্রমুখ।
আরও পড়ুন, 'দাদা' দিলীপ ঘোষই বাংলার সমস্যা, কিছুই করেননি, বিজেপির চা-চক্রকে খোঁচা পার্থর
মুখ্যমন্ত্রীকে চা-আতিথেয়তা গ্রহণের আবেদন জানান আদিবাসীরা। হাসিমুখে সেই আবেদন গ্রহণ করেন তৃণমূল নেত্রী। দিঘার পর এবার বর্ধমানে আদিবাসীদের ঘরে বসে চা পান করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিঘা লাগোয়া দত্তপুকুর গ্রামে গিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অভাব অভিযোগ শোনার পর, একটি চায়ের দোকানে ঢুকে চা তৈরি করেন তিনি। সেই চা তাঁর সফরসঙ্গীদের পরিবেশনও করেন মমতা। এদিনও ক্যামেরাবন্দি হয় আদিবাসীদের ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রীর চা পানের সেই ছবি। পাশাপাশি, গ্রামের মানুষদের কথা শোনার পর তাঁদের হাঁস-মুরগি পালনে সহায়তার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে ঘরের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদেরকে পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।