নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। ফেরালেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। প্রয়োজনে বাতিল করা হবে হাসপাতালের লাইসেন্সও। দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে  হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আরও মানবিক হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের সৃজনী হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই সরকারি আধিকারিক, আমলা, জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, "স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে যদি কেউ তালিকাভুক্ত হাসপাতালে যান, আর সেই হাসপাতাল যদি তাঁকে ফিরিয়ে দেয়, তাহলে থানায় অভিযোগ জানান।"


এরপরই পুলিসের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "এরকম অভিযোগ পেলেই জেলাশাসককে জানান। কোনও দেরি করা যাবে না। জেলাশাসক জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। যদি কেউ পরিষেবা না দেন, তাহলে তাদের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। মনে রাখবেন, রাজ্যের থেকে লাইসেন্স নিয়ে কিন্তু আপনারা হাসপাতাল চালান।" তাঁর কথায়, "কোনও হাসপাতাল তো আর বিনা পয়সায় চিকিৎসা করছে না। সরকার তো তাদের পয়সা দেবে। তাহলে করবে না কেন?" জানতে চান তিনি।


আরও পড়ুন, গ্যাসের দামবৃদ্ধির খেয়াল নেই, আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ করছে, মমতার নিশানায় BJP


আরও পড়ুন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন রেলমন্ত্রীর, বাবুলকে দিলেন মেট্রো দেখভালের দায়িত্ব


প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে বছরে দেড়লক্ষ টাকা চিকিৎসা বিমা দেওয়া হচ্ছে। জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিমার অঙ্ক বছরে ৫ লাখ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বর্তমানে রাজ্যের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আছেন। এই প্রকল্পের জন্য বছরে রাজ্যের ১২০০ কোটি টাকা করে খরচ হচ্ছে বলে জানান নেত্রী। উল্লেখ্য, কোনওভাবেই যে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প তিনি বাংলায় চালু করতে দেবেন না, তা আগেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।