Dilip Ghosh: `উনি মিষ্টি বানাতে জানেন; পা ভেঙে ভোটে জিততে জানেন, ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী`
Dilip Ghosh:দত্তপুকুরে দুধের গাড়িতে করে বাজি যেত বস্তা বস্তা। পুলিশকে বললে পুলিস চমকাতো, কারণ তারা টাকা নিয়ে গাড়ি পার করত। এটা সবাই জানত। শুধু তৃণমূলের লোকেরা জানে না। আর সরকার জানে না
ই গোপী: মঙ্গলবার মিষ্টি ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মিষ্টিকে বাংলার পরিচয় বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মিষ্টি বানাতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি মিষ্টি নিয়ে আরও অনেক কথাই বলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্র করে এমনটাই বলেন মেদিনীপুরের বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-গ্যাস চেম্বার দিল্লি, বাসিন্দাদের গড় আয়ু ১১ বছরেরও বেশি কমিয়ে দিয়ে পারে দূষণ!
বুধবার খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ এনিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাংলার ইতিহাসে এই জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তাঁর মত প্রতিভা এর আগে বাংলায় আসেনি। উনি চা বানাতে জানেন। মিষ্টি বানাতে জানেন। জুতো সেলাই জানেন, গান গাইতে পারেন, নাচতে জানেন। আর কী করে ভোটে জিততে হয় পা ভেঙ্গে, সেটাও জানেন। এখন তিনি নতুন ইতিহাস তৈরি করছেন। রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নজরুল ইসলামকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়ে নিচ্ছেন। আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আমাদের এবার চিন্তা করতে হবে না।
আরও পড়ুন-
রাজ্যের আঙইনশৃঙ্খলা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, নিরাপত্তা জিনিসটা অনেকদিন আগেই বাংলা থেকে উঠে গিয়েছে। জীবনের সুরক্ষা নেই, সম্পত্তি, দোকান, মহিলাদের সুরক্ষা নেই। পুরোপুরি কোলাপসড হয়ে গিয়েছে এখানকার আইন কানুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিয়ে, গালাগালি দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করছেন। সাধারণ মানুষের দিনের পর দিন যে ভয়ানক অবস্থা হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রেপ, মার্ডার নিয়মিত বাড়ছে। আমি জানি না কে কাকে নিয়ে যাচ্ছে। কেন নিয়ে যাচ্ছে। সেটা ওদের ব্যাপার। সিবিআই নিয়ে যায়নি। ব্যাস! এটাই যথেষ্ট। কী করবেন মেসেজ এসেছে তো, উনি কি এবারে বাঁচাতে পারবেন যদি গ্রেফতার করে? হয়তো সময় ঘনিয়ে এসেছে। শুধু অভিষেক একা কেন, অনেককেই ভিতরে যেতে হবে। সেটা উনি প্রত্যক্ষভাবে বুঝতে পারছেন। আমার মনে হয় এই বছর শেষ হতে হতে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে।
বিরোধী জোট নিয়েও মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোট অনেক কিছু করে দিচ্ছে। চন্দ্রযান পাঠিয়ে দিচ্ছে। গ্যাসের দাম কমিয়ে দিচ্ছে, বন্দে ভারত শুরু করে দিল, লজ্জা করা উচিত। সারা ভারতবর্ষে তিনবার পেট্রোলের দাম কমেছে। মোদীজি পেট্রোলের দাম কমেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেট্রোলের দাম কমাননি। দিদি যদি এখানে পেট্রোলের দাম কমান তাহলে আমরা ৯০ টাকার নিচে পেট্রোল পাব। একবার হিম্মত থাকলে পেট্রোলের দাম কমিয়ে দেখান। মিথ্যা কথা বলে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করবেন না।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নিয়েও সরব দিলীপ ঘোষ। বলেন, সবার চোখের সামনে দিয়ে দত্তপুকুর দিয়ে বাজি যেত। দুধের গাড়িতে করে বাজি যেত বস্তা বস্তা। পুলিশকে বললে পুলিস চমকাতো, কারণ তারা টাকা নিয়ে গাড়ি পার করত। এটা সবাই জানত। শুধু তৃণমূলের লোকেরা জানে না। আর সরকার জানে না। আজ তার পরিণাম আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখানকার খবরা খবর নেওয়া দেওয়া আলোচনা করা উনার দায়িত্ব। ওঁর দলের একটা পরম্পরা আছে, তারা জেলে যান। বিদেশ যান না। কেষ্ট গেছেন, পার্থবাবু গেছেন এবার ওনার সময় এসে গেছে। আমরা বলছি যদি আপনি চুরি না করে থাকে তাহলে ফেস করুন, সত্য বলুন। আর যারা করেছে তাদের ধরিয়ে দিন। আর যদি অন্যথা হয় তাহলে আপনাকেও কেষ্ট বাবুদের কাছে গিয়ে থাকতে হবে।