নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীকোন্দলে কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক থেকে কড়া ও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি শওকত মোল্লা-জয়ন্ত নস্করদের। ট্রেড ইউনিয়ন নিয়েও কোনও দলবাজি বরদাস্ত করা হবে না, জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কোর কমিটির বৈঠকে মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সামনেই বিগ ম্যাচ, পঞ্চায়েত ভোট। টার্গেট ১০০। কনফিডেন্ট স্কিপার। কিন্তু, বিঁধছে অন্য একটা কাঁটা। পঞ্চায়েত ভোটে ঘাসফুলের সাজানো বাগানে ক্ষতি করতে পারে একটাই ব্যামো। তা হল গোষ্ঠীকোন্দল। তাই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও জায়গা নেই দলে।


বাসন্তী-ভাঙড়। গত কয়েকমাসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে এই দুই জায়গা। শওকত-জয়ন্ত নস্করদের বিবাদের মাসুল দল যে দেবে না এদিন স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেত্রীর আরেক মাথাব্যাথা শ্রমিক সংগঠন। দোলা সেন বনাম শোভনদেব গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বার বার মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। হুঁশিয়ারি দিয়েও কাজ হয়নি। তাই এবার আইসিডিএস সংগঠনের দায়িত্ব চন্দ্রিমার হাতে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ট্রেড ইউনিয়নের নামে আখের গোছানো যাবে না।


অন্যদিকে, বিভিন্ন জেলায় বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দলের পর্যবেক্ষকদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বুঝিয়ে দিলেন, পর্যবেক্ষকরা তাঁরই বার্তাবাহক।


কিন্তু তৃণমূলের কোর কমিটির বর্ধিত বৈঠকে কেন এত আক্রমণাত্মক তৃণমূল সুপ্রিমো? রাজনৈতিক মহলের মত, এই মুহুর্তে বিরোধীরা নয়। দলের সামনে আসল চ্যালেঞ্জ গোষ্ঠীকোন্দল। অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে না পারলে, সেই ফাঁকের সুযোগ নিয়ে ঘর গোছাতে পারে বিজেপি। তাই তৃণমূল সুপ্রিমোর টার্গেট দলকে মজবুত করা। এদিন সেই কাজটাই এগিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।