নিজস্ব প্রতিবেদন :ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর তাণ্ডবে দুর্গতদের জন্য দেওয়া হবে ডিগনিটি কিট। দুর্যোগে যারা বাড়িঘর সহ সর্বস্ব হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই বিশেষ কিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিট-এর নাম 'ডিগনিটি কিট' তিনি নিজেই দিয়েছেন। এই প্রথম দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেয়া হচ্ছে এমন 'ডিগনিটি কিট'। নতুন করে সংসার পাততে গেলে যা যা প্রয়োজন, তার সবটাই দেওয়া থাকছে এই কিটে। । গরিব মানুষদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই কারণেই এমন কিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব হারানো মানুষের পাশে থাকতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুল-এ ক্ষতিগ্ৰস্ত ৬ লাখ পরিবারকে এই ডিগনিটি কিট বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট দেবে রাজ্য‌। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কিট তৈরি করেছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। কী থাকবে এই কিটে? ডিগনিটি কিটে থাকছে ত্রিপল, ২টো শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, বাচ্চাদের পোশাক, চাদর, শুকনো খাবার, স্টোভ, বাসন সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের নানান জিনিসপত্র। কিটটি ওজন আড়াই মণ। বুলবুলের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


প্রসঙ্গত, বুলবুল তাণ্ডবের পর নির্ধারিত উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে বকখালি যান মুখ্যমন্ত্রী। ১১ তারিখ আকাশপথে বুলবুল বিধ্বস্ত বকখালি ও নামখানা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন পরিচালনায় একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠকে বসে সেই টাস্ক ফোর্স। সেই বৈঠকে আবার জেলাস্তরে ৩টি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়।


আরও পড়ুন, গ্রামে গ্রামে ৩ হাজার সাইবার কেন্দ্র খুলছে রাজ্য, নিয়োগ হবে হাজার হাজার কম্পিউটার প্রশিক্ষক


অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আগামিকাল শুক্রবারই রাজ্যে আসছে প্রতিনিধি দলটি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রাজ্যে বুলবুল-এর তাণ্ডবের পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুর্যোগে সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মোদী-শাহ।