`কৃষক বন্ধু`র টাকা বিতরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চাইল রাজ্য
`কৃষক বন্ধু` প্রকল্পে ৬০০০ টাকা করে কৃষকদের দেওয়ার কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনও নির্বাচনের ঘোষণা হয়নি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বেশ কিছুটা আগেই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ঘোষণা-ই সার! সেই প্রকল্পের সুযোগ ভোটের আগে কৃষকদের পৌঁছে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে ৬০০০ টাকা করে কৃষকদের দেওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও নতুন প্রকল্পের প্রচার বা সূচনা এখন বিধির আওতায়। আর সেখানেই দেখা দিয়েছে জটিলতা।
আরও পড়ুন, 'বারুদের স্তূপ' বাঁকুড়া? লরির ভিতর উদ্ধার বস্তা বস্তা বিস্ফোরক!
কী করা হবে এই পরিস্থিতিতে? সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছেই জানতে চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ঘোষিত প্রকল্পের টাকা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে কি না, সেটাই নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমব্যথী ও রূপশ্রী প্রকল্পের ব্যাপারেও অনুমতি চেয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! 'বেকায়দায়' দিলীপ ঘোষ
এবার আলুর উত্পাদন অধিক হওয়ায় সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কোনও জায়গায় সেই আলু কেনা শুরু হলেও, নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকদের কাছ থেকে সেই আলু কেনাও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যেও কমিশন এর অনুমতি চেয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েও কমিশনের দ্বারস্থ রাজ্য।