ভবানন্দ সিংহ: নিতান্তই সাদামাটা চেহারা। সামান্য খুঁড়িয়ে হাঁটে। ভাবলেশহীন মুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকত হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের সামনে। তারপরেই উধাও হয়ে যেত বাইক! অবশেষে ধরা পড়ল চোর। অপারেশনের স্টাইল দেখে তাজ্জব পুলিস। ঘটনাস্থল, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত মে-জুন মাসে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, এমনকী শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমের সামনে থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল একের এক বাইক। শুধু তাই নয়, যে জায়গা থেকে চুরি হচ্ছিল, সেই জায়গাটি ছিল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার বাইরে! কীভাবে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে?  বিপাকে পড়েছিলেন পুলিস আধিকারিকরা। অবশেষে রায়গঞ্জের একটি নার্সিংহোমের সামনে বাইক চুরির ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। দেখা যায়, নিতান্ত সাদামাটা চেহারার চোরকে! সেই ছবিকে হাতিয়ার করে অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জেরই কসবা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ কাশিমুদ্দিন ওরফে কাশিয়াকে। জেরায় বাইক চুরির কথা স্বীকারও করে সে। এমনকী, মালদহের চাঁচোলে ধরা পড়ে কাশিয়ার এক সহযোগীও। উদ্ধার হয় ৩ বাইক।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ঠোঙা বানিয়ে কোটিপতি হওয়ার উপায় বাতলে দিলেন মমতা!


পুলিস সূত্রে খবর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাংশেও পর্যায়ক্রমে অপারেশন চালাত কাশিয়া। তার টার্গেট ছিল, হাসপাতাল ও নার্সিংহোম চত্বর। কেন? চুরির আগে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোম চত্বরে রীতিমতো রেইকিং চালাত কাশিয়া। সাদামাটা চেহারা, আর ভাবলেশহীন মুখ দেখে সন্দেহ হত না কারও। বরং সহজেই ভিড়ে মিশে যেত সে। নজর রাখত, বাইক নিয়ে যাঁরা হাসপাতাল আসছেন, তাঁদের মধ্যে কে বেশি দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত! এরপর সুযোগ বুঝে সেই ব্যক্তির বাইক নিয়ে চম্পট দিত!  লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বাইক মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিত কাশিয়া। কোথায়? বিহারে।



কাশিয়া ও তার এক সহযোগী এখন পুলিসি হেফাজতে। তদন্তকারীরা অনুমান, তাদের জেরা করে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও মু্শিদাবাদ থেকে চুরি যাওয়া আরও বাইকের হদিশ মিলবে। এদিকে কাজটা যে ঠিক করেনি, সেটা নাকি বুঝতে পেরেছে কাশিয়া। সে অনুতপ্ত। তাহলে কি এবার শুধরে যাবে? এখন সেটাই দেখার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)