নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেয়েকে কটূক্তি মদ্যপদের। প্রতিবাদ করায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে, মাটিতে ফেলে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হল বাবাকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানার জনবহুল বীরেশগুহ স্ট্রিটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত প্রৌঢ় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্তরা। কিন্তু এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এল অভিযুক্ত সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে নতুন মোড়, এবার কাকে চিঠি পাঠাল সিবিআই?


রাতে খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন বছর একষট্টির একবাল সিং। আচমকাই দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙেছিল। ঘরের ভিতর তিন মেয়েকে আটকে এগিয়ে গিয়েছিলেন একাই। কিন্তু দরজা আর খুলতে হয়নি তাঁকে। পাড়ার দুই মত্ত যুবক ততক্ষণে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছে। একজনের হাতে চপার, অন্য জনের হাতে বন্দুক। প্রত্যক্ষদর্শী মেয়ের বয়ান অনুযায়ী, বাধা দেওয়া তো দূরস্থ, কিছু কথা বলার আগেই এক যুবক একবার সিংয়ের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একবাল। চপার হাতে অন্যজন ততক্ষণে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেছে তাঁকে। বন্ধ দরজার পিছন থেকেই বাবাকে কাতরাতে দেখে চিত্কার করতে থাকেন একবাল সিংয়ের তিন মেয়ে। তাঁদের চিত্কারেই টের পান প্রতিবেশীরা। কিন্তু যতক্ষণে জনা পাঁচেক স্থানীয় বাসিন্দা জমা হয়েছে একবালের বাড়ির সামনে, ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুই যুবক।


আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজদের ধরে দিতে পারলেই মিলবে চাকরি-টাকা : মমতা


কিন্তু কেন এই আক্রমণ? কারাই-বা ছিল এই দুই যুবক?


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রধান অভিযুক্ত তোসিফ একজন খুনের আসামি। ১৩ বছর আগে ডন বস্কো স্কুলের সামনে এক ছ’বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগে জেলে খেটেছে সে। প্রতিদিনই এলাকায় মদের আসর বসাত তোসিফ। মা ফ্লাইওভার শেষের মুখ থেকে শুরু করে বীরেশগুহ স্ট্রিট ছিল কার্যত তাদেরই দখলে। সন্ধ্যার পর বসত মদের আসর, চলত মধ্যরাত পর্যন্ত। তাদের জন্যই ওই এলাকা দিয়ে সন্ধ্যার পর কার্যত যাতায়াত করা বন্ধ করে দেয় এলাকার মেয়েরা।


একবার সিংয়ের তিন মেয়ে। তাদের বাড়ির সামনেই তোসিফরা আসর বসাতে শুরু করেছিল ইদানীং। গালিগালাজ তো ছিল, মেয়ে দেখলেই অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, কটূক্তি করত দুষ্কৃতীরা। কিছুদিনের মধ্যেই একবালের এক মেয়ের বিয়ে। তাই বাড়ির সামনে মদের আসর বসাতে বাধা দিয়েছিলেন একবাল। তাতেই তোসিফরা তাঁর মেয়েকে কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করেছিলেন একবাল। আর তাতেই তোসিফদের হাতে আক্রান্ত হতে হল তাঁকে।


সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও, এখনও অধরা তোসিফ ও তার সঙ্গী। একবালের ঘরের মেঝেতে রক্ত জমে এখন কালচে হয়ে গিয়েছে। তবে বাবাকে এইভাবে আক্রান্ত হতে দেখে চোয়াল শক্ত করে নিয়েছেন একবালের তিন মেয়ে। কেন অভিযুক্তরা এখনও অধরা, উঠছে সেই প্রশ্নই।