Ranaghat: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! কিশোর ছেলেকে কুপিয়ে খুন, স্ত্রী-শাশুড়িকে কোপ যুবকের

বিশ্বজিত্ মিত্র: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রাণ গেল ১৩ বছরের সন্তানের। ওই গৃহবধূ ও তার মাকে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত অভিজিত মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাটের মরিয়ম পাড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না অভিজিতের। মাস দুয়েক আগে অভিজিতের স্ত্রী মিতালী মণ্ডল তার ১৩ বছরের সন্তান সায়নকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। সম্পর্কের অবনতির কারণ হিসেবে দুটি বিষয় উঠে আসছে। একটি হল অভিজিতের কিছু টাকা রয়েছে। সেই টাকা রয়েছে অভিজিতের স্ত্রী মিতালীর কাছে। তা নিয়েই বিবাদ। অন্যদিকে, অভিজিতের পরিবারের দাবি, মিতালীর একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।  এনিয়ে প্রয়াশই তার সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়ঝাঁটি হতো। রবিবার রাতে মিতালী ছেলে সায়নকে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিল খেতে। তখনই ছুরি দিয়ে সায়নকে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিজিত্। পাশাপাশি মিতালী ও তার মাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এলাকার লোকজন সায়ন, মিতালী ও তার মাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিজিতের শাশুড়ি মেনকা মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অভিযুক্ত অভিজিত্ মণ্ডলের মা বলেন, কে মেরেছে জানি না। আমি দেখিনি। যারা দেখেছে তারা বলছে আমার ছেলে মেরেছে। পাড়ার লোক ওদের নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নাতি নেই। নাতি শেষ। বয়স মাত্র ১৩ বছর। বউমা দুমাস বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। গত দুবছর তার সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। ওর নাম হিরণ বিশ্বাস। আমার ছেলে বছরে ৩ বার বাড়ি আসে। বাইরে চাকরি করে। বউমা রানাঘাটে কাজে আসে। ছেলেটাকে পড়াতে এসেছিল। তাকে নিতে এসেছিল আমরা ছেলে। নাতি বলেছে বাবাকে সে চেনে না। সেই থেকেই ছেলের মাথা গরম। এটাসেটা ভাঙছিল। তারপর কখন যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে জানি না। সর্দার পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে নাতিকে মেরেছে। বাকীদের কুপিয়েছে বলে পাড়ার লোক বলছে। ওদের মেরে ছেলে এখন পলাতক।