নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের জন্য সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে হারের কারণ খুঁজতে এদিন কালীঘাটে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানান, ব্লক স্তরে হারের ময়না তদন্ত করা হবে। সংগঠনের সঙ্গে থেকে যাঁরা অন্যরকম কাজ করেছেন, দল তাঁদের রেয়াত করবে না। এমন কিছু যাঁরা লোক দলের ভিতরে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নেত্রী। এদিন একাধিক জেলার সভাপতি বদল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


লোকসভা ভোটে যে জঙ্গলমহলে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের, সেই জঙ্গলমহলের দায়িত্ব দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি, সরকারি সংগঠনের দায়িত্বেও আনা হল তাঁকে। দায়িত্ব বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। অন্যদিকে, ডানা ছাঁটা হল অরূপের। বীরভূম, বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। হুগলি জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে রত্না দে নাগকে। পাশাপাশি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দায়িত্ব থেকে সরানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিষেক সবার সাথে কো-অর্ডিনেশন করবে। তাই তাঁর দায়িত্ব কমানো হল।


ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি হলেন বীরবাহা সোরেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি হলেন কানহাইয়ালাল আগরওয়াল, চেয়ারম্যান হলেন অমল আচার্য। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি হলেন অর্পিতা ঘোষ। মালদা জেলার সভাপতি হলেন মৌসম বেনজির নূর। চেয়ারম্যান করা হল মোয়াজ্জেম হোসেনকে। বাঁকুড়ার সভাপতি হলেন শুভাশিস বটব্যাল। বিষ্ণুপুরের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন শ্যামল সাঁতরা। বর্ধমান পশ্চিমের সভাপতি করা হল জিতেন তিওয়ারিকে। বর্ধমান পূর্বের দায়িত্বে রইলেন স্বপন দেবনাথ। মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আবু তাহের খান ও চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা।


দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হারের পর উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান করা হল অমর সিং রাইকে। উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক হলেন অরূপ বিশ্বাস। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল বিজয় বর্মণকে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান হলেন অপূর্ব সরকার। HRBC-র চেয়ারম্যান করা হল দীনেশ ত্রিবেদীকে। মালদা জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হল মৌসমকে।


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই, কালীঘাটের বৈঠকের পর জানালেন মমতা


কৃষ্ণনগরের মতো কেন্দ্রে ভোট বৈতরণী পার করার পুরস্কার পেলেন মহুয়া মৈত্র। নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল গৌরীশংকর দত্তকে। তাঁর জায়গায় কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব পেলেন মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে রানাঘাটের দায়িত্ব দেওয়া হল শংকর সিংকে। সাংবাদিক বৈঠকে লোকসভার দলনেতা নির্বাচিত করা হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপ-দলনেতা হলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা হল মুখ্য সচেতক।