নারায়ণ সিংহ রায়: শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বৌদির বাড়িতে আসে দেওর। সকালে সেই ঘর থেকে মিলল দেওর মৃতঙ্গরাম মুর্মুর(৩০) দেহ। শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ির সোনাপিন্ডিতে ওই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে পলাতক বৌদি লক্ষ্মী মুর্মু। মৃতের মাথা ও কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে খড়িবাড়ি থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য তা পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মৃতঙ্গরামকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পুজোয় বৃষ্টি ভোগালেও কার্নিভালে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম


স্থানীয় সুত্রে খবর বছর তিনেক আগে মৃত মৃতঙ্গরামের দাদা মারা যায়। তারপর থেকেই দেওর ও বৌদির মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্কের সৃষ্টি। কিন্তু লক্ষী মুর্মুর বাড়িতে অন্য আরেক ব্যাক্তির অবাধ যাতায়াত ছিল। ফলে ওই ঘটনায় ত্রিকোণ প্রেমের কোনও যোগাযোগ একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  


এলাকাবাসী দীনেশ যাদব জানান, "অনেক লোকই এই বাড়িতে যাতায়াত করত। বিভিন্ন সময় দেখতাম। সকালে শুনতে পাই এই বাড়িতে মার্ডার হয়েছে। এসে দেখি সত্যিই তাই। এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। পুলিস এসেছে ৷ বাকিটা পুলিশ তদন্ত করবে।" লক্ষ্ণীর প্রতিবেশী শোভা বিশ্বাস জানান,  "ছেলেটির মা এসে প্রথমে খবর দেয়। মৃতের মা প্রথমে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। লক্ষী মুর্মুর এটা বাপের বাড়ি। বাড়িতে একাই থাকত। মৃতঙ্গরাম মাঝে মধ্যে এসে এখানে থাকত, আবার আরও এক লোককে দেখতাম। এটা খুন ছাড়া আর কিছু না।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)