নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষকদের মাথায় হাত। কারণ এ বছর বেগুন চাষ করে বিরাট ক্ষতির মুখে মালবাজারের চাষিরা। প্রতি বছর গজলডোবা এলাকায় কৃষকেরা বেশ কিছু জমিতে বেগুন চাষ করে আসছেন। ওই এলাকাটি তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত হওয়ায় সব ধরনের ফসলের সঙ্গে বেগুন চাষ খুব ভাল হয়। বেগুন চাষ করে ফি বছর লাভবান হন এলাকার কৃষকেরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে এবার বিপরীত ছবি দেখা গেছে ওই এলাকায়। এ বছর বেগুন চাষে খুব ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। এলাকার কৃষক সুনীল দাস, স্বপন বর্মণদের বক্তব্য, দুই বিঘা জমিতে বেগুন চারা লাগানো হয়। কিন্তু সেই বেগুনে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। বেগুনে পোকা ধরে যাওয়া ক্ষতির মুখে তাঁরা। তাঁদের দাবি, অনেক কৃষকেরা ৩ টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নিয়ে বেগুন চাষ করেছিলেন কিন্তু যে ভাবে বেগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে বিরাট ক্ষতির মুখে তারা। কি ভাবে ঋণ শোধ করবে তা বুঝে পাচ্ছেন না।



আরও পড়ুন- রেফ্রিজেরেটর ফেটে আগুন, মৃত্যু হল এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের


এলাকার বিক্রম দাস, অমিত সরকারের মতো কলেজ পড়ুয়ারা কাজ না পেয়ে বেগুন চাষে হাত লাগিয়েছিল কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব খারাপ। বিক্রমের বক্তব্য, প্রায় এক দেড় হাজার কৃষক বেগুন চাষ করেছিল। বেশির ভাগ বেগুন পচে যাচ্ছে এবং পোকা ধরে গেছে। প্রতিবছরের তুলনায় উৎপাদন ও কম হয়েছে। কয়েকশো বিঘা জমির বেগুন নষ্ট হয়ে গেছে।  কৃষকদের বক্তব্য, দুটি কারণে বেগুনের অবস্থা এত খারাপ হয়েছে। প্রথমত, আবহাওয়ার জন্য বেগুনের এই হাল এবং এবছর তারা পঞ্জাব থেকে বীচ এনেছিল। ওই বীচ উন্নতমানের না হওয়ায় ফলন কম ও ধসা রোগ দেখা দিয়েছে।


এবছর বহু কৃষক অন্যের জমি লিজ নিয়ে বেগুন চাষ করেন কিন্তু বেগুন যে ভাবে ক্ষতি হয়েছে, তাতে মহাজনের টাকা শোধ করাই মুশকিল হবে বলে তাঁদের বক্তব্য। কৃষকদের দাবি, এ ব্যাপারে সরকারি সাহা্য্য মিললে কিছুটা ক্ষতেয় প্রলেপ দেওয়া যাবে।