নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা থেকে বাঁচতে মহারাষ্ট্র থেকে অনেক কষ্টে নিজের গ্রামে ফিরেছিলেন। থাকতে হয়েছিল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে।  অবশেষে পরিত্যক্ত মার্কেটে তৈরি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ এলাকার এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃতের নাম দিলীপ পণ্ডিত(৬০)।
ছদিন আগে মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে ফিরে আসেন দিলীপ পন্ডিত। সেখানে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। পাগলিগঞ্জের বাসিন্দা দিলীপ পন্ডিতের সঙ্গে কাজ করতেন পাশের গ্রাম পোল্লা পাড়ার সুভাষ মালি নামে আরও এক ব্যক্তি। জেলায় ফিরে আসার পর দুজনেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পরিবারের অভিযোগ, গ্রামবাসীরাই তাঁদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেন। বাধ্য হয়ে এলাকার পরিত্যক্ত মার্কেটে তৈরি হওয়া কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকেন তাঁরা। শনিবার রাতে ঘুমোচ্ছিলেন দিলীপ পণ্ডিত। মাঝরাতে আচমকাই জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর শরীরে। বাড়িতে খবর যায়। পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা জানান, সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের।


আরও পড়ুন: হিমাচলে মধুচন্দ্রিমা! লকডাউনে আটকে পড়া বাংলার দম্পতি সাক্ষী থাকলেন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার
ঘটনার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ বলে এড়িয়ে যান। এলাকায় ক্ষোভ ও আতঙ্কিত-দুটোই তৈরি হয়েছে।