Purulia: সাহেব বাঁধের কচুরি পানা, আলো আর দূষণের সঙ্গে লড়ছে দূর দেশের পাখিরা...
Purulia: দূরদেশ থেকে উড়ে আসে শীতের পাখি। শীতে বাংলা জুড়ে মোটামুটি এই ছবি। বর্ধমান, বাঁকুড়া, নদিয়া, হাওড়া, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-- সর্বত্র এই ছবি। একই ছবি পুরুলিয়াতেও। কিন্তু এবার সেই ছবিতেও ছেদ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দূরদেশ থেকে উড়ে আসে শীতের পাখি। শীতে বাংলা জুড়ে মোটামুটি এই ছবি। বর্ধমান, বাঁকুড়া, নদিয়া, হাওড়া, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-- সর্বত্র এই ছবি। একই ছবি পুরুলিয়াতেও।
কিন্তু এবার সেই ছবিতেও ছেদ। শীতের ভরা মরশুমেও পুরুলিয়া শহরের সাহেব ঝিলে দেখা নেই পরিযায়ী পাখিদের।
আরও পড়ুন: Katwa: মানুষ আর প্রকৃতির জোড়া থাবায় আক্রান্ত শীতের খেজুর গুড়, পাটালি...
কেন নেই? কচুরিপানায় ঢেকেছে সাহেব ঝিল। যানবাহনের আওয়াজ আর দূষণের কারণে আগের মতো নিরাপদ আস্তানা আর পাচ্ছে না পাখিরা। তাই সাহেব ঝিল থেকে মুখ ফিরিয়েছে পরিযায়ী পাখির দল। আর তাই মনখারাপ পক্ষীপ্রেমীদের।
পুরুলিয়া শহরে প্রায় ৮৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে এই সাহেব ঝিল। এই সাহেব ঝিল একটা সময় পরিযায়ী পাখিদের ঠিকানা ছিল। প্রতি বছরই শীতের মরশুমে এই জলাশয়ে রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, নর্দান পিনটেল, গাডওয়াল, ফেজান্ট টেলড জাকানা, ব্রোঞ্জ উইং জাকানা, পার্পেল শ্যাম্পেন, কমন মুরহেন, কমন কুট-- প্রভৃতি বাহারি চেহারা ও রঙিন পাখিদের দেখা মিলত। এই সব বর্ণিল পাখি দেখতে ভিড়ও জমাতেন পক্ষীপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষজন থেকে পর্যটক সকলেই।
কিন্তু বর্তমানে সেই ছবিটা বদলেছে। পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা সাহেব ঝিল কচুরি পানায় পরিপূর্ণ। এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে বহুতল। মাত্রাছাড়া দূষণ তো আছেই। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে আলোর অত্যাচার। সন্ধের পর থেকে সাহেব ঝিল ঘিরে জ্বলে ওঠে রঙিন আলো। সেই আলোও ঠিকানা বদলাচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের।
আগে পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র পাখি দেখার জন্য বিশেষ আয়োজনও করত। কিন্তু এবছর পাখি তেমন না আসায় সেই আয়োজনও বন্ধ। জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে সাহেব ঝিলে পাখিদের থাকার মতো উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ভরা শীতেই শুরু হয়ে গেল প্রায় ২৫০ বছরের দুর্গাপুজো!
পুরুলিয়া শহরবাসী অনুপ মণ্ডল জানান, একটা সময়ে শীতে পরিযায়ী পাখি দেখতে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন আসতেন। কিন্তু পাখির আনাগোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভার উচিত সাহেব ঝিলে পাখিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। পুরুলিয়া পুরসভার পুর প্রধানের নবেন্দু মাহালিও স্বীকার করছেন, পাখিদের থাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় তাদের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।