নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকালে ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে ঘটল বিপর্যয়! উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pardesh) বারাণসীতে (Baranasi)  বহুতলে ভেঙে প্রাণ হারালেন মালদহের ২ শ্রমিক। আহত ৬। মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ আগে। পুলিস সূত্রে খবর, মালদহের কালিয়াচকের আলিপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের শেরশাহি গ্রাম থেকে ১২ গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। কেন? বারাণসীর বাসাসামিত এলাকায় মন্দির তৈরি হচ্ছে। সেখানেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন তাঁরা।  সোমবার রাতে কাজ সেরে নির্মীয়মাণ ওই মন্দির থেকে কিছুটা দূরে একটি বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন সকলে। ভোররাতে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। দেওয়াল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমিরুল মোমিন ও  এবাদুল মোমিন নামে দু'জন। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুসংবাদ আসে মালদহে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। 


আরও পড়ুন: ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে, এবার 'ঘরওয়াপসি'-র আবেদন রতুয়ার ১৮ নেতার


এদিন সকালে মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মালদহে পৌঁছন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মৌসুম বেনজির নূরও। মন্ত্রীকে সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শ্রমিকদের পরিবারের লোকেরা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে এসেছি। এর আগেও যখন মালদহ-মুর্শিদাবাদে কোনও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তখন আমাকে পাঠিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের একটি প্রোজেক্টে কাজ করতে গিয়েছিল। ঘুমন্ত অবস্থা ছাদ ভেঙে পড়েছে, শ্রমিকরা মারা গিয়েছে। এরা আমাদের ঘরের ছেলে, বাংলার ছেলে। বাংলার মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।'